[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডাবের খোসা কিনবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ঢাকা, ০৪ এপ্রিল  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে পানি জমে থাকে এমন পরিত্যক্ত পাত্র, ডাবের খোসা, বিভিন্ন পণ্যের পলিথিনের মোড়ক, পুরোনো টায়ার ও অন্যান্য পরিত্যক্ত জিনিসপত্র কিনে নেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে ডিএনসিসির নগর ভবনে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান সংস্থাটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্মতিতে পরিত্যক্ত জিনিসপত্র ও এসব জিনিসের জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে চিপস ও ওই ধরনের পণ্যের মোড়ক, আইসক্রিমের কাপ ও ওয়ান টাইম কাপ-গ্লাস প্রতিটি ১ টাকা, প্রতিটি ডাবের খোসা ও কনডেন্সড মিল্কের কৌটা ২ টাকা, মাটি, প্লাস্টিক, মেলামাইন কিংবা সিরামিকের পাত্র ৩ টাকায় কেনা হবে।

এ ছাড়া ফেলে দেওয়া প্রতি কেজি পলিথিন ৫০ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার একটি ৫০ টাকা, পুরোনো কমোড ও বেসিন প্রতিটি ১০০ টাকা, অন্যান্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের জিনিস কেজিপ্রতি ১০ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঈদের পরে (ঈদুল ফিতর) প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজননস্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ এসব পুরোনো, পরিত্যক্ত জিনিসপত্র জনগণের কাছ থেকে নগদে কিনে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যে কেউ এসব জিনিস জমা দিয়ে নগদ টাকা নিতে পারবেন।’

মেয়র আরও বলেন, ঈদের পর থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে জনগণকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন (প্রচারণা) শুরু করতে হবে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা ও সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা করা হবে। জনগণের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে যে এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে, সে জন্য নিজেদের ঘরবাড়ি, কর্মস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

সভায় ডিএনসিসিতে নিয়োজিত কোনো মাস্টাররোল এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক বা কর্মী কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে তাঁর পরিবারকে এককালীন অনুদান আট লাখ টাকা প্রদান, উৎসব ভাতা ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ৫৯ বছর বয়স, তাৎক্ষণিকভাবে সৃষ্ট শূন্য পদ, কর্মরত অবস্থায় অকালমৃত্যু ও সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ বা শারীরিক অক্ষমতায় সৃষ্ট শূন্য পদে ওই কর্মীর বৈধ ওয়ারিশকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন