[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নানা আয়োজনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। 

শনিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এ শিক্ষক-কর্মকর্তারা মিলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভ মুক্তির কিরণ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সর্বত্র। আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হয় স্বাধীনতার বার্তা, জয় বাংলা বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দ ঘোর আর বিজয়ের উল্লাস বাঙালির প্রাণোন্মাদনা সৃষ্টি করে, সজীব করে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নেরা অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। 

রবি উপাচার্য শাহ্ আজম আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, ৭১’র ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তির দিন আজ। 

তিনি বলেন, ‘আনন্দের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে দেশের নেতৃত্বে দেখতে চাই। এই চাওয়া পূরণ করতে সমর্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ এই বাংলায় আর কোনো দিন যেন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। স্বাধীনতা বিনষ্টকারী ও দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার দায়িত্ব এ দেশের তরুণদের।’ 

শাহ্ আজম বলেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’ 

আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ, রেজিস্ট্রার জনাব সোহরাব আলী, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন