[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মাদকাসক্ত নেতাকর্মী বাদ দিয়ে ফ্রেশ ছাত্রলীগ গড়তে চাই : লিটন

প্রকাশঃ
অ+ অ-

বক্তব্য দেন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, অনুপ্রবেশকারী, বিবাহিত, অছাত্র কিংবা মাদকাসক্ত নেতাকর্মী বাদ দিয়ে ফ্রেশ ছাত্রলীগ গড়তে চাই। যারা নেতৃত্বে আসতে চায়, অথচ সঠিকভাবে বলতে গেলে নামে মাত্র ছাত্র। অথবা বছরের পর বছর পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ঝুলে আছে এ রকম এক ধরনের অছাত্র অথবা যারা বিবাহিত ও মাদকাসক্ত এই সমস্ত ক্যাটাগরি বাদ দিয়ে একেবারে বাছাই করে ফ্রেশ ছাত্রলীগ আমরা গড়তে চাই।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পতাকা উড়িয়ে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের অধিবেশন উদ্বোধন করা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার। এই কথাটির মধ্যে সর্বজনীন একটি বিষয় আছে। বিষটি সবার জন্য প্রযোজ্য। আসলেই যারা যুবক, যারা তারুণ্যের শেষপ্রান্তে অথবা যৌবনের শুরুর প্রান্তে পৌঁছে গেছে তারাই তো দেশ গড়বে, তারাই তো ভালো কিছু করবে, পথ দেখাবে। কাজেই এই তরুণ প্রজন্ম যাদেরকে আমি আমার সামনে দেখতে পাচ্ছি, যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, নেত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলা ও পরবর্তীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মতো করে তৈরি হচ্ছে তাদেরকে অনেকগুলি দায়িত্ব নিতে হবে। সে দায়িত্ব কিন্তু খুব কঠিন দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে দৃষ্টান্ত আছে অনেক বড় বড়। বর্তমান রাজনীতিতে কিছু অবক্ষয় এসেছে। এটি আওয়ামী লীগের মধ্যেও যে আসেনি এটি আমি অস্বীকার করবো না। কিছুটা অবক্ষয় তো এসেছেই। কিন্তু তুলনামূলকভাবে আওয়ামী লীগ এবং তার সঙ্গে ছাত্রলীগ অনেক ভালো জায়গায় আছে। সেই কারণেই নেত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আজ থেকে ৩০ বছর আগে খাতা এবং কলম উপহার দিয়ে বলেছিলেন- আমার ছাত্রলীগ পড়াশোনা করবে। পড়ে দেশ গড়বে এবং তারপরে সময় পেলে রাজনীতি করবে। সেই ছাত্রলীগ এখনো কিন্তু সেই ভাবেই নেত্রী দেখতে চান।

মেয়র লিটন বলেন, এখানে অনুপ্রবেশকারী ও কোনো খারাপ মানুষ ঢুকে পড়তে পারে বা ঢুকে পড়েনি এমনটিও বলা যাবে না। যারা ঢুকে পড়েছে তাদেরকে সতর্কভাবে চিহ্নিত করেতে হবে। যারা ছাত্রসমাজের সাথে মিশতে পারে না বা ছাত্রসমাজ যাদেরকে গ্রহণ করতে পারে না তাদের দূরে রাখতে হবে।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহা. ইসফাক ইয়াসশির ইপুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

এছাড়াও বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবু সাইদ কনক ও এনামুল হক তানান।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ছাত্রলীগের চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন