[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঈশ্বরদীতে শোবার ঘরে মিলল আওয়ামী লীগ নেতার বোনের লাশ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

লাশ উদ্ধারের সময় শোবার ঘরটি তছনছ অবস্থায় পাওয়া যায়। আলমারিটিও ছিল খোলা। সোমবার সন্ধ্যায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গোলাবাড়ী গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় শোবার ঘরে পাওয়া গেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বোনের লাশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গোলাবাড়ী গ্রামে নিজ ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

লাশ উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম হাজেরা খাতুন (৭৬)। তিনি রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহর স্ত্রী এবং পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবুল ইসলামের বোন।

হাজেরা খাতুন  | ছবি: সংগৃহীত

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাজেরা খাতুনের তিন ছেলে ও চার মেয়ে। তাঁদের মধ্যে দুই মেয়ে বিদেশে থাকেন। অন্যরা সবাই ঢাকায় থাকেন। হাজেরা অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকেন। মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়িতে এসে থাকতেন। সোমবার সকালেও কয়েকজন প্রতিবেশী তাঁকে বাড়ির বাগানে ঘুরতে দেখেছেন। এর পর থেকেই তাঁকে আর বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। তাঁর সন্তানেরা ঢাকা থেকে দিনভর মাকে ফোন দিয়ে পাননি। বিকেলে তাঁরা বিষয়টি কয়েকজন প্রতিবেশী ও মামা হাবিবুল ইসলামকে জানান। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে হাবিবুল ইসলাম বাড়িতে ঢুকে বোনের শোবার ঘর তালাবন্ধ দেখতে পান। তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার পর তাঁরা ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় হাজেরা খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ঈশ্বরদী থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে ভিড় করেন স্থানীয়রা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

হাবিবুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে ভাগনিদের ফোন পেয়ে তিনি মাগরিবের নামাজের পর বোনের বাড়িতে আসেন। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে বোনের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এ সময় ঘরের আলমারি খোলা পাওয়া যায় এবং কাপড়চোপড় ছড়ানো–ছিটানো ছিল।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, এ ঘটনায় ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। ওই টিম এলে ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ করে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, ঘরটি তছনছ করা অবস্থায় ছিল। আলমারিটিও খোলা পাওয়া গেছে। ঘরের মেঝেতে ছোপ ছোপ রক্ত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লুটপাটের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন