[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পাবনায় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে নামাজ আদায়

প্রকাশঃ
অ+ অ-

জেলা শহরের সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে বিশেষ এ নামাজ আদায় করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনায় টানা কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ।

তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে তাই বৃষ্টি কামনা করে নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা শহরের সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে বিশেষ এ নামাজ আদায় করা হয়। স্থানীয় যুব সমাজ এ নামাজের আয়োজন করেন। ধর্মমতে, এ নামাজকে বলা হয় ‘ইসতিসকার নামাজ’। এ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বা পানির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, কালবৈশাখীর মৌসুমেও বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো টানা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝড়ে পড়ছে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেছিলেন। নামাজে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়েছিল।

আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাঞ্জাবি-টুপি পরে জায়নামাজ নিয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নামাজ আদায় ও দোয়া পরিচালনার জন্য হাজির হন মাওলানা হারুনুর রশীদ। প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন তিনি। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন।

ছেলেকে নিয়ে নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন শহরের রাধানগর মহল্লার শাহাদৎ হোসেন। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি এ নামাজের বিষয়ে অবগত আছেন। বর্তমান রোদ-গরমে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা একধরনের বড় দুর্যোগ। তাই দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নামাজ আদায় করতে এসেছেন।

দেওয়ান মাহাবুব নামের আরেকজন বলেন, ‘যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রথমেই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি। এ নামাজ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে সেই কাজ করা হলো। সৃষ্টিকর্তা রহমত বর্ষণ করবেন বলে আশা করছি।’ 

বৃষ্টির প্রার্থনায় বিভিন্ন বয়সের মানুষ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে হাজির হয়েছিলেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

এ প্রসঙ্গে মাওলানা হারুনুর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বৃষ্টি নেই। অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, গবাদিপশু কষ্ট পাচ্ছে। খেতখামার ও বাগানে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতেই ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী, দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টি ও পানি প্রার্থনা করা হয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন