[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সাঁথিয়ায় বাবাকে রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর ছেলের মৃত্যু

প্রকাশঃ
অ+ অ-

মজনু শেখ  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি সাঁথিয়া: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় অসুস্থ বাবাকে রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর মজনু শেখ (৪২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান তিনি।

মজনু উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের নজু সেখের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়িচালক ছিলেন।

সোমবার  সকালে আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মজনু শেখের মামা মনছুর আলী ঝন্টু জানান, মজনু ঢাকায় গাড়ি চালাতেন। তার বাবার অসুস্থতার কথা শুনে কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়িতে আসেন। গুরুতর অসুস্থ বাবার চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন হয়। পরে রোববার দুপুরে তিনি তার বাবাকে নিজেই রক্ত দেন। রক্ত দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে আসেন। বিশ্রাম না নিয়েই নিজেদের ক্ষেতে যান পেঁয়াজ তুলতে। সেখানে তিনি অসুস্থ বোধ করেন।

ঝন্টু আরও জানান, স্বজনরা তাকে রোববার বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহীতে স্থান্তর করেন। ওই রাতেই তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়ার যায়নি।

এ বিষয়ে পাবনা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, বিষয়টি না জেনে বলা ঠিক হবে না। কারণ তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তাও আবার রামেক হাসপাতালে। সেখানে রেগীর চিকিৎসার কাগজ পত্র রয়েছে সেটি না দেখে কিভাবে মৃত্যুর কারণ বলি। তবে মৃত্যু যে কোনো সময় হতে পারে। রক্ত দেওয়ার পরে শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল সেটি না জেনে পরীক্ষা না করে বলা ঠিক হবেনা। দায়িত্বশীল চিকিৎসক বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন