[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা জানাতে সাইকেল চালিয়ে পাবনায় ৮ ভারতীয়

প্রকাশঃ
অ+ অ-

বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা জানাতে ভারত থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে আসা ভারতের আট নাগরিক | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য সাইকেল চালিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের আট নাগরিক।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস স্মরণে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে ভ্রমণে এসেছেন তাঁরা। 

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী প্রদেশের চন্দননগর থেকে তাঁরা এই যাত্রা শুরু করেন।

১৫ ফেব্রুয়ারি রানাঘাট দর্শনা হয়ে আলমডাঙ্গা দিয়ে কুষ্টিয়ায় প্রবেশ করেন তাঁরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি দর্শন করে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট হয়ে নদীপথে প্রবেশ করেন জেলা শহর পাবনায়। যাত্রাকালে তাঁরা কুষ্টিয়া শহরের লালন সাঁই মাজার পরিদর্শন করেন। 

ভারতের গঙ্গা যা বাংলাদেশ পদ্মা নদী বলে পরিচিত, সেই পদ্মার বিশাল ধুলোমাখা চরের বালুপথে সাইকেল চালিয়ে সন্ধ্যার পরে মূল শহরের প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরারা তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কুশল বিনিময় করেন। 

ভ্রমণ দলের প্রধান মহুয়া ব্যানার্জি জানান, আজ শুক্রবার সকালে জেলা শহর পাবনার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন তাঁরা। এর মধ্যে সূচিত্রা সেনের পৈতৃক বসতবাড়ি, মানসিক হাসপাতাল, বনমালী রায় বাহাদুরের জমিদারবাড়ি ও শ্রী শ্রী অনুকুলচন্দ্র ঠাকুরের আশ্রম রয়েছে। পরিদর্শন শেষে বিকেলে যাত্রা করবেন ঢাকার উদ্দেশে। 

এ সময় কাশিনাথপুর নগরবাড়ী ঘাট হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রবেশ করে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরবেন নিজ দেশে। 

এবারের যাত্রাকাল ও ভ্রমণের গাইড ও দলীয় প্রধান হিসাবে রয়েছেন দলের একমাত্র নারী সদস্য মহুয়া ব্যানার্জি। তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন তাঁর স্বামী শিক্ষক শৈবাল ব্যানার্জি। এ ছাড়া এবারের যাত্রায় যারা এসেছেন, তাদের মধ্যে দুজন ব্যবসায়ী ও ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন। বাংলাদেশ ভ্রমণে নতুন যেসব সদস্য এবার এসেছেন তারা হলেন, শিক্ষক শ্রীকান্ত মণ্ডল, শিক্ষক প্রণব মাইতি, শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার, শিক্ষক রমজান আলী, ব্যবসায়ী অঞ্জন দাস ও সত্যব্রত ভাণ্ডারি। 

ভ্রমণ দলের সমন্বয়ক শৈবাল ব্যানার্জি বলেন, বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ও দুই বাংলার মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। এই ভ্রমণে দুই দেশের সীমান্তের কাঁটাতারারের বেড়া কোনো বাঁধা বা সমস্যা নয়। বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা এবং ১৯৫২ সালে ভাষাশহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি প্রয়াস।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন