ঈশ্বরদীতে শীতের লেপ তৈরির ধুম
![]() |
| শীতের লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা। শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের আলহাজ্ব মোড়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় শীতের আগমনে ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরির। লেপ তোশকের কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। জনসাধারণও ভিড় জমাচ্ছেন লেপ-তোশকের দোকানে।
উপজেলার বাজারের লেপ তোশক তৈরির প্রতিটি দোকানে এখন প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি লেপ তোশক তৈরি হচ্ছে। তবে লেপের কাপড়, ফোম ও মজুরি গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ঈশ্বরদী বাজারের আজিবর স্টোরের স্বত্বাধিকারী আজিবর চৌধুরী বলেন, ’১০-১২ বছর ধরে লেপ-তোশক তৈরি ও বিক্রি করে আসছি। লেপ তোশক তৈরি করে আজ আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। এক ছেলে দুই মেয়েকে পড়ালেখা শিখিয়েছি। খরচ মিটিয়ে সংসারের হাল ধরে আছি এ ব্যবসা থেকেই। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি আর ছেলে পড়ালেখা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইচ্ছে করলেও এ ব্যবসা ছেড়ে দিতে পারিনি, তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে রেখেছি। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে ২ জন কারিগর আছেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি লেপ তৈরি হয়ে থাকে। ৪-৫ হাত মাপের তৈরি লেপ ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।’
লেপ তোশক তৈরির কারিগর মুজিবর চৌধুরী বলেন, ‘আমি ৫ বছর যাবৎ লেপ তোশকের কারিগর হিসেবে কাজ করে আসছি। এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে মন চায় না। বাবার সূত্র ধরেই আমি এ পেশার সঙ্গে জড়িত।’
কারিগর অলিয়ার রহমান বলেন, শীত আসার আগেই মানুষ লেপ-তোশক বানাতে শুরু করে দিয়েছে। আমরাও ব্যস্ত সময় পার করছি। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পাবে। মনে হয় এ বছর আয় রোজগার ভালোই হবে।
ঈশ্বরদীর প্রধান বাজারে কথা হয় লেপ-তোষক কিনতে আসা মিনাল রহমান নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শীত পড়তে শুরু করেছে। বেশি শীত পড়ার আগেই নতুন লেপ-তোষক তৈরি করতে এসেছি। কিন্তু তুলা, কাপড় ও কারিগরের মুজুরি বেশি হওয়ায় দুটোর স্থলে একটা বানিয়ে নিলাম।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন