[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সৌর বিদ্যুতে বিনিয়োগ করতে চায় সিঙ্গাপুর

প্রকাশঃ
অ+ অ-

সৌরবিদ্যুৎ | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, মাতারবাড়তে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি ৪০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।

বুধবার সচিবালয়ে নসরুল হামিদের সঙ্গে তাঁর কক্ষে সিঙ্গাপুরের পরিবহন ও ব্যবসা সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রী এস ইশ্বরন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অবস্থা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী। সিঙ্গাপুর সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আরও টেকসই অবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমি ভিত্তিক তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল, অটোমেশন ও আইটি খাত, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট দ্রুত সরবরাহ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করতে পারে দুই দেশ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট থাকলে এসব কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

সিঙ্গাপুরের পরিবহন ও ব্যবসায় সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী এস ইশ্বরন বলেন, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্যই তাঁর এই সফর। অবকাঠামো স্ট্রাষ্টির আওতায় বিনিয়োগ কার্যক্রম বাড়ালে ভালো ফল পাওয়া যাবে। বিমানবন্দরে সৌরবিদ্যুৎ বা ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ বা বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যেতে পারে।

দুই দেশের মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি জ্বালানি খাতে ক্লিন এনার্জির বিস্তার, বিনিয়োগ, কারিগরি সহযোগিতা ও তহবিল সংগ্রহসহ বৈশ্বিক অবস্থা নিয়ে দুজনের মধ্যে এ সময় আলোচনা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত ডেরেক লহ, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম খোরশেদুল আলম ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন