[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন রবিউল

প্রকাশঃ
অ+ অ-

স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন প্রথম স্মারক বক্তৃতা দেন মার্কিন জাদুঘর বিশেষজ্ঞ বারবারা এফ চার্লস। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, ঢাকা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সঙ্গে স্থপতি রবিউল হুসাইনের নাম জড়িয়ে আছে। জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন মুক্তিযুদ্ধকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে যে আট সারথি এক হয়েছিলেন, কবি রবিউল হুসাইন তাঁদের অন্যতম। ২৬ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মারক বক্তৃতায় উঠে এল এসব কথা।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন স্মারক বক্তৃতা। ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই স্মারক বক্তৃতা দেন মার্কিন জাদুঘর বিশেষজ্ঞ বারবারা এফ চার্লস।

‘লেসনস: ইমস, কান অ্যান্ড দ্য লিবারেশন ওয়ার মিউজিয়াম’ শীর্ষক বক্তৃতায় বারবারা বলেন তাঁর কর্মজীবনের শুরুর অভিজ্ঞতা। কাজ শুরু করেছিলেন খ্যাতিমান মার্কিন নকশাকার, স্থপতি ও চলচ্চিত্রকার চার্লস ইমস ও তাঁর স্ত্রী রে ইমসের কার্যালয়ে। তাঁর জীবনের আরও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ছিল আরেক খ্যাতিমান স্থপতি লুই আই কান জাদুঘরে কাজ। এরপর সুযোগ হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য কাজ করার। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হলো বদলের সত্যিকারের নায়ক। আমার কাছে এই জাদুঘর একটি প্রতিশ্রুতির নাম।’

এই জাদুঘরের ট্রাস্টি রবিউল হুসাইন প্রসঙ্গে বারবারা বলেন, ‘রবিউলের সঙ্গে কথা বলতে, নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রদর্শনভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে খুব ভালো লাগত। আজ এখানে উপস্থিত হয়ে তাঁর স্মরণে প্রথম স্মারক বক্তৃতা দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বর্ধিত একটি সংস্করণ নির্মিত হচ্ছে জামালপুরে। সেখানেও কাজ করছেন বারবারা।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সঙ্গে স্থপতিদের সেতুবন্ধ শুরু থেকেই। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও চারবারের সভাপতি রবিউল হুসাইন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি। রবিউল বাংলাদেশের স্থাপত্যশিল্পের বিকাশে বহু রকম অবদান রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে যেসব স্থাপত্য নির্মিত হয়েছে, সেসব নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। করোনা মহামারিতে রবিউল হুসাইনসহ তিন ট্রাস্টিকে হারিয়েছি আমরা। তাঁদের স্মরণে আমরা কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছি।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমরা আটজন ট্রাস্টি ছিলাম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের। সেই সূত্রে একসঙ্গে অনেকটা পথ হেঁটেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিস্তারে তিনি ছিলেন সক্রিয়, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার, সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সঙ্গেও।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্থাপত্য ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি কাজী গোলাম নাসির। তিনি বলেন, রবিউল হুসাইন ছিলেন ঝিনুকের মতো। তাঁর কবিতা, তাঁর স্থাপত্য ছিল মুক্তার মতো।

স্মারক বক্তৃতার আয়োজক ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে প্রতিবছর রবিউল হুসাইন স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হবে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন