[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাষ্ট্রপক্ষ-দুদকের বক্তব্য সুইস রাষ্ট্রদূতের কথার সঙ্গে সাংঘর্ষিক

প্রকাশঃ
অ+ অ-

হাইকোর্ট ভবন | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অর্থ জমাকারী বাংলাদেশিদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি বলে দেশটির রাষ্ট্রদূত যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেছে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ। একই সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অবৈধভাবে অর্থ জমাকারী বাংলাদেশিদের বিষয়ে বিএফআইইউর মাধ্যমে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তথ্যাদিসহ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবী এসব কথা বলেন।

শুনানিকালে আদালত বলেন, জানতে চাওয়া হয়েছিল, অর্থ জমাকারীদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছিল কি না। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের স্টেটমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাওয়া হয়। দুদক-রাষ্ট্রপক্ষ যে তথ্য ও বক্তব্য দিয়েছে, তা তাঁর (রাষ্ট্রদূত) বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। 

আদালত আরও বলেন, ‘তাঁর (রাষ্ট্রদূত) বক্তব্যে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আপনাদের (রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক) বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিভ্রান্তি দূর হবে। অর্থ জমাকারীদের বিষয়ে আপনারা তথ্য চেয়েছেন। তারা দিচ্ছে না। দিলেও শর্ত সাপেক্ষে। আপনারা তথ্য চেয়েছেন ও পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন, পরিষ্কার করেছেন। মানুষ মূল্যায়ন করবে সত্যি বলেছেন কি না।’

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

শুনানি নিয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা তথ্যাদি আগামী রোববারের মধ্যে হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেদিন প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য আদালত দিন রেখেছেন।

১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব টকে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা অর্থের বেশির ভাগ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি।

সুইস রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর নজরে এলে পরদিন হাইকোর্ট সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অর্থ রাখা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছিল কি না, তা জানতে চান। সেদিন আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীকে রোববারের (আজ) মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ তথ্য চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তথ্যাদি তুলে ধরেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন