[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

অবিশ্বাস্য নাটকীয়তার ম্যাচে নোয়াখালীকে হারাল সিলেট

প্রকাশঃ
অ+ অ-
শেষ বলে জয়ের আনন্দ সিলেট টাইটানসের খেলোয়াড়দের | বিসিবি

১৮তম ওভারে মেহেদী হাসান রানের হ্যাটট্রিকের কারণে সিলেটের গ্যালারি নীরব হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু শেষ ওভারে তা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। শেষ ওভারে ১৩ রানের সমীকরণ ছিল, যা শেষ বলে নেমে আসে ১ বলে ২ রানে—দলটা সেই রানে জয় পেয়ে যায়!

এই কৃতিত্বের বড় অংশ ইথান ব্রুকসের। সাব্বির হোসেনকে ছক্কা ও চার মেরে তিনি কাজটা সহজ করেছিলেন। কিন্তু পঞ্চম বলে ব্রুকস রানআউট হলে আবার নাটকীয়তা তৈরি হয়। ১ বলে ২ রানের সমীকরণ আসে সাব্বিরের দেওয়া ওয়াইড আর শেষ বলে লেগ বাই থেকে। শেষ বলে অতিরিক্ত খাত থেকে পাওয়া ২ রানের সুবাদে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ১৪৩ রানে ১ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় সিলেট টাইটানস।

এর আগে সিলেটের গ্যালারি প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১৪৪ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে সিলেট ৩ উইকেটে ১১৭ রান তুলেছিল। তখনও বাকি ছিল ২৭ বল, রানও দরকার ২৭। হঠাৎ ধস নামে সিলেটের ব্যাটিংয়ে—মাত্র ৮ রান যোগ করতেই তারা ৫ উইকেট হারায়।

নোয়াখালীর বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও খালেদ আহমেদকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি বোলারদের নবম হ্যাটট্রিক ছিল এটি, যা সিলেটের জন্য হারের শঙ্কা তৈরি করে।

শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ১৩ রানে। ইথান ব্রুকস ৭ বলে ৬ রান করেছে, মোহাম্মদ আমির ২ বলে ১ রান। জয়ের পাল্লা ভারী ছিল নোয়াখালীর দিকেই। সাব্বির হোসেন প্রথম দুই বল ডট দেওয়ার পর তৃতীয় বল ফ্রি হিটে ইথান ব্রুকস ছক্কা মেরে দেন, পরেরটিতে চার।

২ উইকেট হাতে থাকতেই ২ বলে ২ রান দরকার ছিল সিলেটের। ব্রুকস রান আউট হন, কিন্তু শেষ বলেই সাব্বিরের দেওয়া ওয়াইডের কারণে সমীকরণ আসে ১ বলে ১ রানে। শেষ বল সালমান ব্যাটে নিতে পারেননি, পায়ে লাগতেই দৌড়ে রানের জন্য মাঠ পার করেন। নোয়াখালী এলবিডব্লুর রিভিউ কাজ করেনি। সিলেটের গ্যালারি শেষ বলে ১ উইকেটের জয়ে মেতে ওঠে।

এর আগে রান তাড়ার শুরুতে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারায় সিলেট। অধিনায়ক মিরাজের সঙ্গে পারভেজ হোসেন ৬৫ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের পথ সুগম করেন। পারভেজ ৪১ বলে ৬০ রান করেন।

সিলেটের জয় সহজ করেন বোলাররাও—খালেদ আহমেদ ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।

নোয়াখালী ব্যাটিংয়ে প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনজনই শূন্যে ফেরেন। অধিনায়ক সৈকত আলী ২৯ বল খেলে ২৪ রান করেন। ৫১ বল খেলা মাহিদুলও ৬১ রানের বেশি করতে পারেননি। জাকের আলীর ১৭ বলের ইনিংসে ৪ চারে ২৯ রান আসে, যা ছিল দলের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট। শেষ পর্যন্ত সব কিছু কাজে লাগেনি। নোয়াখালী এক্সপ্রেস টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারে। সিলেট টাইটানস পেয়েছে দুই ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নোয়াখালী এক্সপ্রেস: ২০ ওভারে ১৪৩/৭ (মাহিদুল ৬১*, জাকের ২৯, সৈকত ২৪; খালেদ ৪/২৩, সাইম ২/২৫)

সিলেট টাইটানস:
২০ ওভারে ১৪৪/৯ (পারভেজ ৬০, মিরাজ ৩৩, ব্রুকস ১৬; মেহেদী ৪/৩৪, হাসান ২/১৯)

ফল: সিলেট টাইটানস ১ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: খালেদ আহমেদ

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন