[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানের ভিডিওটি সন্দ্বীপের

প্রকাশঃ
অ+ অ-
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন এক বক্তা | ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

মঞ্চে বসে ‘পাকিস্তান পাকিস্তান, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দেন এক বক্তা। সমবেত জনতা সেই স্লোগানে কণ্ঠ মেলায়—এমন একটি ভিডিও আজ সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের একটি অনুষ্ঠানে ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত কোরআন তিলাওয়াত সম্মেলনের এক বক্তা এমন স্লোগান দেন। উপস্থিত দর্শকদের একজন সেটির ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন।

ভাইরাল হওয়া ২০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে বসে এক বক্তা দুই হাত ওপরে তুলে স্লোগান দিচ্ছেন, ‘পাকিস্তান পাকিস্তান’। এরপর সামনে থাকা দর্শকেরা একসঙ্গে বলছেন, ‘জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’। বক্তা আবার বলেন, ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। সমবেত জনতা তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলে, ‘জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’। এরপর বক্তা স্লোগান ধরেন ‘নারায়ে তাকবির’।

কোরআন তিলাওয়াত সম্মেলনে ছিলেন মাইটভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা নুরনবি রুমি। তিনি বলেন, গতকাল মাইটভাঙ্গার সাউথ সন্দ্বীপ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে এই স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সম্মেলনটি ছিল কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেন। পাকিস্তান থেকে আসা এক ইসলামি বক্তা মঞ্চে ওঠার পর সঞ্চালক এমন স্লোগান দেন।

সম্মেলনে উপস্থিত আরও একজন বলেন, মূলত ইরান, মিসর, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানের প্রতিযোগীরা সম্মেলনে অংশ নেন। যখন যে দেশের প্রতিযোগী মঞ্চে ওঠেন, সেই দেশের নামেই সঞ্চালক স্লোগান ধরেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একই অনুষ্ঠানের আরেকটি ভিডিওতেও এর প্রমাণ মেলে। সেখানে দেখা যায়, মিসরের বক্তা মঞ্চে ওঠার পর ‘মিসর জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।

ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে জানতে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সাওতুল কোরআন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হাফেজ তাওহিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সন্দ্বীপের মুক্তিযোদ্ধারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া দুঃসাহসিক কাজ। এর নিন্দা জানাই। শুধু নিন্দা নয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জানিয়ে দিতে চাই—এমন স্লোগান আমরা সহ্য করব না।’

জানতে চাইলে সন্দ্বীপের নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা বলেন, ‘আমি ভিডিওটি দেখিনি, কেউ বিষয়টি আমার নজরেও আনেনি। যদি এমনটি ঘটে থাকে, তা দুঃখজনক। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।’

সন্দ্বীপ থানার ওসি এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘এমন ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই। কেউ যদি এমন স্লোগান দিয়ে থাকেন, তাহলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন