দেশে ফিরতে ‘ট্রাভেল পাসের’ জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান | গ্রাফিক্স: পদ্মা ট্রিবিউন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরতে ‘ট্রাভেল পাস’ আবেদন করেছেন। তিনি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এই আবেদন জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্য থেকে একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, তারেক রহমানের ট্রাভেল পাসের আবেদন ইতিমধ্যেই হাইকমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক কারণে লন্ডনে নির্বাসিত তারেক রহমান মেয়াদ ফুরানোর পর আর বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাননি। গত বছর অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সুযোগ থাকলেও তিনি পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেননি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই বাংলাদেশি হিসেবে দেশে ফেরার জন্য তাঁকে ট্রাভেল পাস নিতে হবে।

গত মাসে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে কোনো বিধিনিষেধ নেই, এক দিনে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব। নিয়ম হচ্ছে, পাসপোর্ট না থাকলে বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে আমরা ওয়ান টাইম পাস দিই, একবার দেশে আসার জন্য। এক দিনেই পাস দেওয়া সম্ভব। কাজেই তিনি যদি আজ আবেদন করেন, আগামীকাল হয়তো প্লেনে উঠতে পারবেন। কোনো অসুবিধা নেই।’

তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি সেই দেশে আছেন।

১৭ বছরের বেশি সময় পর ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখতে বিএনপি বিশেষ আয়োজন করছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই, তারেক রহমানের ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাস ছাড়িয়ে এবং আগামী ৫৫ বছরের ইতিহাসেও স্মরণীয় হয়ে থাকুক। তাই সব আয়োজন করা হচ্ছে।’

তারেক রহমানের মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দেশে ফেরার পর তিনি সরাসরি হাসপাতালে মাকে দেখতে যেতে পারেন। এজন্য বিমানবন্দর ও এভারকেয়ার হাসপাতালের কাছে উপযুক্ত স্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া যায়।