[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

গাড়ি থামিয়ে কাচে চাপাতির কোপ, একজন বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ভাঙচুর করা গাড়ি | ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরে কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার প্রাইভেট কার থামিয়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং তাদের ‘গুলি করার’ হুমকিও দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গাড়িতে থাকা দুই কর্মকর্তা হলেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন।

আসাদুজ্জামান খান ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘আমরা অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ তিন ব্যক্তি এসে আমাদের গাড়ি থামান। থামানোর সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির কাচ ভাঙচুর শুরু হয়। একজন আরেকজনকে বলতে থাকেন, “গুলি কর, গুলি কর”। আমরা কোনোভাবে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়াতে থাকি। একটি গলির ভেতর ঢুকে প্রাণে বাঁচি।’

তিনি বলেন, ‘গুলির কোনো আওয়াজ আমরা শুনিনি। তখন আমরা শুধু দৌড়াচ্ছিলাম। গাড়ি ভাঙচুর হলেও আমরা কেউ গুরুতর আহত হইনি। কে বা কারা, কেন এই হামলা করেছে, তা আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারিনি।’

আসাদুজ্জামান জানান, হামলাকারীরা তিনজন ছিল। তারা একটি মোটরসাইকেলে আসে। একজনের হাতে চাপাতি ছিল। গাড়ির কাছে এসে প্রথমে চাপাতি দিয়ে গাড়িতে কোপ দেয় একজন। এরপর একজন গুলি করতে বলে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাস্টমসের বিভিন্ন অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২টি মামলা করি। এই কারণে নানা সময় হুমকিও পেয়েছি। অতীতে আমাদের এই কাজ থেকে সরে আসার জন্যও চাপ দেওয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ বলেন, ‘সম্প্রতি দুই কনটেইনারে আমদানিনিষিদ্ধ পপি বীজ এসেছে। অন্য কনটেইনারে আনা হয়েছে ঘন চিনি। এই অনিয়ম ধরেছেন এ কর্মকর্তারা। এছাড়া কসমেটিকস আমদানিকে কেন্দ্র করে কাস্টমে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে মালামাল আনা হচ্ছিল। গত দুই মাসে এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর কারণে কিছুদিন ধরে তাঁরা বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি পাচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে একজন ফোন করে নিজেকে সাজ্জাদ পরিচয় দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবে কোন সাজ্জাদ, তা বলেননি। আমাদের ধারণা, কাস্টমে অনিয়ম ধরার কারণেই আজকের হামলা হতে পারে।’

নগরের ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ জানান, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছি। তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই চিহ্নিত করা হবে।’

এর আগে, গত ৬ অক্টোবর হুমকির বিষয়ে বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ৫ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একজন ফোন করে ভয় দেখান এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।

বন্দর থানার ওসি মোস্তফা আহমেদ বলেন, তিনি ১২ দিন হলো এখানে এসেছেন। জিডির বিষয়টি তাঁর জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন