[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নদীর মাটি চুরি মামলায় আটক ব্যক্তি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো

প্রকাশঃ
অ+ অ-

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা। বুধবার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সাতক্ষীরায় বেতনা নদী অবৈধভাবে খনন করে মাটি লুটপাটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে বাধা দিতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ সদস্য হলেন সাতক্ষীরা সদর থানার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহাবুর রহমান এবং কনস্টেবল মেহেদী হাসান। তাঁদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) সাতক্ষীরার উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী সদর থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নেহালপুর ও আশপাশের এলাকায় বেতনা নদীর মাটি অবৈধভাবে কেটে ট্রলিতে করে সরিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র। এই চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন সদর উপজেলার ধলিহর সানাপাড়া এলাকার কেসমত আলী।

সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার বৈধভাবে বেতনা নদীর মাটি কিনেছেন। বিষয়টি গত মঙ্গলবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অর্ণব দত্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানান এবং মাটি লুটপাট না হওয়ার জন্য ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেনকে নির্দেশনা দেন। ওই নির্দেশনার পর পুলিশও ট্রলিচালকদের সতর্ক করে।

এসআই সোহরাব হোসেন জানান, বুধবার ভোরে কেসমত আলীর নেতৃত্বে সাত–আটজন ব্যক্তি নেহালপুর স্লুইসগেট এলাকায় খনন করা মাটির স্তূপ ট্রলিতে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় কার্যসহকারী রাজকুমার মণ্ডল মাটি কাটতে বাধা দেন। তখন কেসমত আলী ও তাঁর সহযোগীরা তাঁর ওপর চড়াও হন।

পরবর্তীতে সকাল ১০টার দিকে ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমত আলীকে আটক করে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে কেসমত আলীর ভাই রহমত আলী, ভাতিজা বাবুর আলীসহ ২৫–৩০ জন পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা ফাঁড়ির ফটক ভেঙে কেসমতকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে এএসআই মাহাবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসানকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে হামলাকারীরা কেসমত আলীকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও কেসমত আলীর নেতৃত্বে বেতনা নদীর মাটি লুটপাট হতো। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অন্য একটি পক্ষ আবারও মাটি কাটতে শুরু করে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় আজ বিকেলে কেসমত আলী, বাবুর আলী, রহমত আলীসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০–৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন