ক্ষেতলাল সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের কক্ষে পিয়নের মরদেহ
![]() |
| জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের কক্ষে পিয়নের পাওয়ার খবরে উৎসুক লোকজনের ভিড়। শনিবার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত কর্মচারীর নাম মাহবুব আলম (৩৫)। তিনি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা। প্রায় ছয় বছর ধরে তিনি ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব আলম সমাজসেবা কার্যালয়ের একটি কক্ষে থাকতেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোয়াজ্জিম হোসেন গত বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির পর বাড়িতে চলে যান। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়। এ কারণে কার্যালয়ের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার জন্য মোয়াজ্জিম হোসেন মাহবুবের মুঠোফোনে কল দেন। তবে তিনি মাহবুবকে ফোনে পাননি।
পরে মোয়াজ্জিম হোসেন আরেক নারীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ওই নারী কার্যালয়ে গিয়ে ভেতর থেকে তালা বন্ধ দেখতে পান এবং মাহবুবকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে সমাজসেবা কর্মকর্তার কক্ষের জানালা খুলে ভেতরে তাকান। তখন তিনি দেখেন, মাহবুব আলম ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোয়াজ্জিম হোসেন বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তিনি বাড়িতে ছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

Comments
Comments