[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

এবার পাগলা মসজিদে মিলল পৌনে ১২ কোটি টাকা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
এবার পাগলা মসজিদের ১৩ সিন্দুকে কম সময়ে মিলেছে ৩৫ বস্তা টাকাসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার পৌনে ১২ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার।

রাত পৌনে আটটার দিকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ এ তথ্য জানান। শনিবার সকাল সাতটার দিকে ১৩টি সিন্দুক খুলে পাওয়া যায় ৩৫ বস্তা টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে টাকা গণনা শেষ হয়। গণনা শেষে মোট পাওয়া গেছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানায়, গতবারের তুলনায় এবার কম সময়ে, অর্থাৎ ৩ মাস ২৭ দিন পর সিন্দুক খোলা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ৩০ আগস্ট ৪ মাস ১৮ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৩২ বস্তায় মোট ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়াও মিলেছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা।

সকাল সাতটা থেকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা শুরু হয়। প্রথমে লোহার সিন্দুক থেকে টাকা বের করে বস্তায় ভরা হয়, পরে মেঝেতে ঢেলে গণনা করা হয়। জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা এবং পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম চলে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে টাকা গণনা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গণনা কার্যক্রমে রূপালী ব্যাংকের প্রায় ১০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া ও পাগলা মসজিদের এতিমখানাসহ দুটি মাদ্রাসার প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী এবং মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় ৫০০ জন অংশ নেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের পর অবশিষ্ট দানের টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। বর্তমানে ব্যাংকে নগদ হিসেবে ১০৪ কোটি টাকার বেশি আছে। অনলাইনে দান করা আরও ১২ লাখ টাকার বেশি অর্থ আছে। এছাড়া পাওয়া বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে সংরক্ষিত আছে। সময় ও সুযোগ বুঝে এগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ মূল তহবিলে যুক্ত করা হবে।

জেলা প্রশাসক জানান, পাগলা মসজিদের অর্থ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়া হয়। পাশাপাশি অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসাসহায়তা এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমেও এই অর্থ ব্যয় করা হয়।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে টাকা গণনা এবং ব্যাংকে জমা দেওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদ জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ নিয়মিত এখানে দান করতে আসেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন