জামায়াতের সঙ্গে জোট বাঁধছে এনসিপি, দাবি আবদুল কাদেরের
![]() |
| বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের |
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী আসন সমঝোতায় যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে আবদুল কাদের লেখেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এনসিপির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আবদুল কাদেরের পোস্টের পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচজন নেতার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আবদুল কাদের এনসিপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত না হলেও তাঁর জুলাই অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধারাই এই রাজনৈতিক দলটি গড়ে তোলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাঁর মতো সমন্বয়ক ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির শীর্ষ নেতারা। গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে এনসিপি–সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আবদুল কাদের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সমর্থক হিসেবে পরিচিত আবদুল কাদের। অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেওয়া আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টার পদ ছেড়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–১০ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি এনসিপিতে যোগ না দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
এনসিপি ভুল পথে আছে দাবি করে যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হকের দল ছাড়ার ঘোষণার দিনই ফেসবুক পোস্টে এনসিপির সঙ্গে জামায়াতের জোট বাঁধার খবর পাওয়ার দাবি করেন আবদুল কাদের।
পোস্টে আবদুল কাদের লেখেন, ‘তারুণ্যের রাজনীতির কবর রচিত হতে যাচ্ছে। এনসিপি অবশেষে জামায়াতের সাথেই সরাসরি জোট বাঁধতেছে। সারা দেশে মানুষের, নেতা–কর্মীদের আশা–আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে গুটিকয়েক নেতার স্বার্থ হাসিল করতেই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে কার্যত এনসিপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এনসিপি শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং শতাধিক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটি এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে সঙ্গে নিয়ে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ গঠন করেছে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে।
আবদুল কাদের দাবি করেন, জামায়াতের কাছে এনসিপি ৫০টি আসন চেয়েছিল। দর–কষাকষির পর ৩০টি আসনে সমঝোতা হয়েছে। এই শর্ত অনুযায়ী এনসিপি বাকি ২৭০টি আসনে কোনো প্রার্থী দিতে পারবে না।
তিনি আরও দাবি করেন, নির্বাচনে জয়ী হলে নাহিদ ইসলাম প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর জিততে না পারলে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হবেন—এমন আলোচনাও নাকি রয়েছে।

Comments
Comments