শান্তর সেঞ্চুরিতে জয়ে শুরু রাজশাহীর
![]() |
| নাজমুল সেঞ্চুরি করেন ৫৮ বলে | ছবি: বিসিবি |
হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের হাত থেকে বল ফসকে গেলে তা বাউন্ডারি লাইনের খুব কাছে গিয়ে পড়ে। তখন এক রানের জন্য দৌড়ে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন দুই রান নিয়েছেন। স্ট্রাইক প্রান্তের ক্রিজ ছুঁতেই নাজমুল আরও দূর পর্যন্ত দৌড়ে যান—ব্যাটে চুমো দিয়ে দেওয়া তাঁর উদ্যাপনটাও দেখা যায়।
নাজমুলের এই উদ্যাপন তাঁর সেঞ্চুরির আনন্দকে আরও উজ্জ্বল করেছে। ১০১ রানে অপরাজিত থেকে নাজমুল মাঠ ছাড়েন সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে রাজশাহী ওয়্যারিয়র্সকে ৮ উইকেটে জয় দিয়ে।
নাজমুলের সেঞ্চুরিটি আরও বিশেষ, কারণ গতবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশালের একাদশে তিনি মাত্র ৫ ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নাজমুল মাঠে নামেন ১৯০ রান তাড়ায়, যখন রাজশাহী ৪৩ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে। শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৭১ বলে ১৩০ রানের জুটি গড়ে, ২ বল আগে দলকে জয় এনে দেন। ৬০ বলের ইনিংসে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় আসে তাঁর ১০১ রান। এটি টি-টোয়েন্টিতে নাজমুলের তৃতীয় সেঞ্চুরি।
রাজশাহীর বড় জয়ে মুশফিকেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নিলামে প্রথম ডাকে অবিক্রীত থাকা এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ৩১ বলে ৫১ রান করেন। তাঁর ব্যাটে আসা বাউন্ডারি দলকে জয় নিশ্চিত করে।
অন্যদিকে, ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মনে হচ্ছিল মঞ্চ পারভেজ হোসেনের জন্যই সাজানো। টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেটের রান দুই শর কাছাকাছি যাওয়ায় মূল অবদান তাঁর। চার নম্বরে নেমে পারভেজ ৩৩ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৬৫ রান করেন। ২৫ বলে ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটির ওপর দাঁড়িয়ে তিনি দর্শকদের মাতান, তবে শেষ নায়ক হয়ে ওঠেন নাজমুলই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট টাইটানস: ২০ ওভারে ১৯০/৫ (পারভেজ ৬৫*, রনি ৪১, আফিফ ৩৩, সাইম ২৮; লামিচানে ২/২৮, বিনুরা ১/৩১)
রাজশাহী ওয়্যারিয়র্স: ১৯.৪ ওভারে ১৯২/২ (নাজমুল ১০১*, মুশফিক ৫১*; খালেদ ১/৩০)
ফল: রাজশাহী ওয়্যারিয়র্স ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল হোসেন

Comments
Comments