অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন গঠনের দাবি অ্যাসোসিয়েশনের
![]() |
| বিবৃতি | প্রতীকী ছবি |
প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের আদলে প্রশাসনের জন্যও একটি স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এই কমিশন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা ইত্যাদি নিরপেক্ষভাবে নির্ধারণ করবে। কমিশন তার পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক দিয়ে গঠিত হবে।
সংগঠনের সভাপতি এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং মহাসচিব ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ‘পুলিশ কমিশন’ গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি পুলিশ বাহিনীকে গণমুখী ও পেশাদারী হিসেবে গড়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন স্বাগত জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। প্রশাসন ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তার ওপর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তাঁদের পেশাদারিত্ব ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দেশের উত্তম প্রশাসন জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠান অবশ্যই রাজনৈতিক প্রভাব, পক্ষপাত ও অযাচিত হস্তক্ষেপমুক্ত থাকতে হবে। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মতো আধুনিক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ প্রশাসন কাঠামো গঠন এখন সময়ের দাবি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান বাস্তবতায় প্রশাসনকে তার পেশাগত স্বাধীনতা ও আইনসম্মত দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন চাপ, প্রভাব ও অনাকাঙ্ক্ষিত নির্দেশনার মুখোমুখি হতে হয়, যা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, কর্মদক্ষতা ও জনবিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন একটি স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ গঠনের দাবি জানাচ্ছে। পুলিশ কমিশনের আদলে এটি প্রশাসনের জন্য একটি স্বাধীন, আইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন