[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

শরীয়তপুরে বালতি হাতে ককটেল ছোড়াছুড়ি, বিস্ফোরণ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বালতিতে করে ককটেল ছুড়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

একদল তরুণ ও যুবক বালতি হাতে দৌড়াচ্ছেন। কিছু তুলছেন এবং ছুড়ে মারছেন। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ধোঁয়ায় চারদিক ঢেকে গেছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।

শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামে এভাবে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। রোববার সকালে বিবদমান দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

এর আগে, এই বছরের ৫ এপ্রিলও ঠিক একইভাবে বিলাসপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল, যা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

জাজিরা থানা সূত্র জানায়, বিলাসপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ব্যাপারী এবং একই এলাকার তাইজুল ইসলাম ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ আছে। দুজনই চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। নাসির উদ্দিন বিলাসপুরের চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারীর সমর্থক এবং তাইজুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল জলিল মাতবের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ দুই পক্ষের লোকজন গ্রামের দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে একে অপরের ওপর ককটেল ছুড়ে মারেন। তারা দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে অন্তত ৬০-৭০টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

দীর্ঘদিন ধরে বিলাসপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল জলিল মাতবরের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ এপ্রিল দুই পক্ষের লোকজন বিরামপুরে সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন। ওই ঘটনায় পুলিশের করা বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ওই দুই নেতা কারাগারে যান। সম্প্রতি কুদ্দুস ব্যাপারী জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আবদুল জলিল এখনও কারাগারে রয়েছেন।

রোববার সকালে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর পুলিশ ও র‌্যাবের দুটি দল এলাকায় যায়। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটক করে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ, তারা পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনার বিষয়ে তাইজুল ইসলাম বলেন, 'বিলাসপুরের আজকের ঘটনায় তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি ঢাকায় আছেন। কোনো পক্ষ শত্রুতাবশত তাঁর নাম জড়াচ্ছে।' 

ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় ঘটনার বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

জাজিরা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, 'বিলাসপুরে আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তারা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন। দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। কোনো পক্ষ মামলা না করলে পুলিশই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে।' 

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন