[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২৫

প্রকাশঃ
অ+ অ-
নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় গুলি করছেন এক ব্যক্তি | ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া 

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। জামায়াতের দাবি, তাঁদের প্রচারণার সময় বিএনপির লোকজন হামলা চালিয়েছেন। বিএনপি বলছে, গ্রামের লোকজন একজোট হয়ে জামায়াতের লোকজনকে ধাওয়া দিয়েছেন।

উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সাতজনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। বাকিরা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, পাবনা–৪ (ঈশ্বরদী–আটঘরিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান। আর জামায়াতের প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মন্ডল। চরগড়গড়ি গ্রামে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। দুই দিন আগে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

স্থানীয় মানুষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বিকেলে জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল এলাকায় গণসংযোগে যান। আলহাজ্ব মোড়ে পৌঁছালে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁদের বাধা দেন। সেখানে কিছুক্ষণ কথা–কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির পর আবু তালেব মন্ডল সরে আসেন। ফিরে আসার পথে মৃধাপাড়া মহল্লায় আবার দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ জামায়াত প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল অভিযোগ করেন, তাঁরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় যান। তাঁদের সঙ্গে প্রায় ১৫০টি মোটরসাইকেল ছিল। ফেরার পথে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমানের লোকজন হামলা চালিয়ে গুলি ছোড়ে এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন বলে তিনি দাবি করেন। গুলিবিদ্ধদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, জামায়াতের নারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের বিনিময়ে ‘বেহেশতর টিকিট’ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন। স্থানীয় বিএনপি নেতারা প্রতিবাদ করলে জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল অস্ত্রসহ গাড়ি ও লোকজন নিয়ে গ্রামে ঢোকেন এবং বিএনপির দুজন কর্মীকে মারধর করেন। তখন গ্রামের লোকজন একজোট হয়ে তাঁদের ধাওয়া দেন। এ সময় জামায়াতের লোকজন গুলি ছোড়ে ও বিএনপি নেতা–কর্মীদের মারধর করে। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন আহত হন। একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আবদুন নুর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন