[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

গোলাম রাব্বানীর ডাকসুর জিএস পদ অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী | ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) জিএস নির্বাচিত হওয়া অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া, সে সময় যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভর্তি না হওয়ায় তাঁর এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী রাশেদ খান এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহ হক ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন দেন। এতে বলা হয়, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সব সদস্যের ডাকসুর সদস্যপদ বাতিল করা হোক এবং ভুক্তভোগী প্রার্থীদের বিষয়েও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এছাড়া, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ডাকসু ভবনে সংঘটিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিও জানানো হয়।

একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে বলা হয়, ২০১৯ সালের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কিছু প্রার্থী বা প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোটদান, অনাবাসী শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ভোট কারচুপি, কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে অবৈধভাবে সিল মারা, ভোট দিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা এবং অবৈধভাবে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সহ নানা ধরনের কারচুপি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আরও তদন্তের প্রয়োজন।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাক্ষাৎকারের পর প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের গোলাম রাব্বানী, মেহজাবিন হক ও ফাহমিদা তাসনিমের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। তাই তাদের ভর্তি আইন অনুসারে বাতিল বলে গণ্য হবে। এই অবস্থায় বৈধ ছাত্রত্ব না থাকায় ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা বৈধ ছিল না। সুতরাং কমিটি তাঁর জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে।

২০১৯ সালে জিএস পদে গোলাম রাব্বানী ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী রাশেদ খান, যিনি ৬ হাজার ৬৩ ভোট পান। গোলাম রাব্বানীর জিএস পদ বাতিলের পর রাশেদ খান ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি বর্তমানে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

রাশেদ খান লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানীর এমফিল ছাত্রত্ব চূড়ান্তভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাত্রত্ব বাতিল হওয়ায় ঢাবি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তার ডাকসু পদও অবৈধ। ২০১৯ সাল থেকে আমার সংগ্রাম চলছিল। ২০২৫ সালে ন্যায়বিচার পেলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন