অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮.১৭ শতাংশ
| মূল্যস্ফীতি | গ্রাফিক্স: পদ্মা ট্রিবিউন |
অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এটি ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আজ বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অক্টোবর মাসের মূল্যস্ফীতি চিত্র প্রকাশ করেছে। কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ওঠানামা করছে, তবে এখন এটি ৮ শতাংশের ঘরেই রয়েছে।
বিবিএস জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। অর্থাৎ খাদ্যের দাম কম বেড়েছে, কিন্তু খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম বেড়েছে।
গত তিন বছর ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি উচ্চ থাকার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি মূলত জীবনের খরচ বেড়ে যাওয়া। মাসে আয়ের পুরো টাকা সংসার চালাতে খরচ হয়। কিন্তু হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে, আয়ের বৃদ্ধি না হলে মানুষকে ধার করতে হয় অথবা খাবার, কাপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হয়। যদি আয়ের বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম হয়, সাধারণ মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়।
তবে মূল্যস্ফীতির হার কমে যাওয়ার মানে জিনিসপত্রের দাম কমে গেছে নয়। এটি শুধু বোঝায়, ওই মাসে মূল্যবৃদ্ধি আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, ২০২৪ সালের বাজার থেকে ১০০ টাকার পণ্য ও সেবা কিনতে গিয়ে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে সেই একই পণ্য ও সেবা কিনতে ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা খরচ হয়েছে। প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৮ টাকা ১৭ পয়সা।
দু-তিন বছর ধরে দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এছাড়া এনবিআর তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ক-কর কমিয়েছে। বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানির প্রবাহ ঠিক রাখারও চেষ্টা করা হয়েছে।
Comments
Comments