কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম
![]() |
| সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না | গ্রাফিক্স: পদ্মা ট্রিবিউন |
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্ন। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে বের হন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সিনিয়র জেল সুপার আবু নূর মো. রেজা সাংবাদিকদের জানান, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর মামলার নথি নিম্ন আদালতে পৌঁছায়। পরে নিম্ন আদালত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে বিকেল ৫টার দিকে সাংবাদিক পান্নাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কারাগার প্রাঙ্গণ থেকে নিয়ে যান।
গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ওই দিন সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর একদল ব্যক্তি মিছিল নিয়ে ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢুকেন। এ সময় তাঁরা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের আটক করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এসে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে নেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন