[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস | ছবি: প্রেস উইংয়ের সৌজন্যে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে বসে।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।

ভাষণের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন করা হয়। প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর শেষে এটি ইতিমধ্যে গেজেট নোটিফিকেশন করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে জানান মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে—সনদের সংবিধানবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবনার ওপর গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত। আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।’ 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন