[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশঃ
অ+ অ-
নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে দলটির একাংশের নেতা–কর্মীদের মানববন্ধন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা পরিষদের সামনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে দলের একাংশের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধামইরহাট উপজেলার পৌর বাজার এলাকায় নওগাঁ-জয়পুরহাট মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা থেকে বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীরা অংশ নেন।

সারা দেশে ঘোষিত বিএনপির প্রাথমিক ২৩৭টি মনোনয়নের মধ্যে নওগাঁ-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সামসুজ্জোহা খানকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়ন পরিবর্তন করে এই আসনে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করছেন তার অনুসারী নেতা–কর্মী ও সমর্থকরা।

আজ বেলা ১১টার দিকে ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে থেকে আমইতাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কের উভয় পাশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে নওগাঁ-জয়পুরহাট মহাসড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নওগাঁ-২ আসনে সামসুজ্জোহা খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তার অনুসারী নেতা–কর্মীদের চাঁদাবাজি ও মামলাবাজির কারণে তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। বিএনপির তৃণমূল নেতা–কর্মীরাও সামসুজ্জোহার ওপর ক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোনো আন্দোলন–সংগ্রামে তিনি মাঠে ছিলেন না। নেতা–কর্মীরা মামলা-হামলার শিকার ও কারাবরণ করলেও তিনি কোনো খোঁজ নেননি। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে নাজিবুল্লাহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। পরিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। বক্তারা বলেন, নাজিবুল্লাহকে মনোনয়ন দিলে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হবে।

ধামইরহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘নওগাঁ-২ আসন বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতারা যে প্রার্থীকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছেন, তাতে আসনটি জামায়াতের হাতে চলে যাচ্ছে। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছি, বিগত সরকারের সময়ে মামলা খেয়েছি, ঘরছাড়া হয়েছি, কিন্তু সামসুজ্জোহা কোনো খোঁজখবর রাখেননি। আমাদের দুঃসময়ে নাজিবুল্লাহ চৌধুরী পাশে ছিলেন। এই আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে নাজিবুল্লাহ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

নওগাঁ-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সামসুজ্জোহা খান বলেন, ‘যাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। আশা করি, তাঁরা দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপির পক্ষে এক হয়ে কাজ করবেন।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ধামইরহাট পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ার হোসেন, ধামইরহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দেওয়ান ফেরদৌস, ধামইরহাট উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন ও ধামইরহাট পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান হোসেন প্রমুখ।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন