ঈশ্বরদীতে বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে গুলি ছোড়া যুবককে কেন্দ্র করে তর্ক
| বিএনপি–জামায়াতের সংঘর্ষের সময় গুলি ছুড়ছেন যুবক। গতকাল বৃহস্পতিবার | ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া |
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এক যুবক অস্ত্র হাতে গুলি করছেন, এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বিএনপি নেতা–কর্মীরা দাবি করেন, অস্ত্রধারী ওই যুবক জামায়াত–শিবিরের কর্মী। অন্যদিকে জামায়াত নেতারা বলছেন, তিনি বিএনপির কর্মী।
ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে, যেখানে নির্বাচনী প্রচারণায় যান উভয় পক্ষের নেতা–কর্মীরা। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হন। ফেসবুকে ছড়ানো ছবিতে দেখা যায়, রাস্তায় মানুষ জড়ো, আর এর মধ্যে সাদা টি-শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরা এক যুবক ডান হাতে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করছেন।
সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মক্কেল মৃধা দাবি করেন, 'গুলি চালানো যুবকের নাম তুষার হোসেন। তিনি ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং জামায়াত–শিবিরের কর্মী। তাঁর গুলিতে বিএনপির কয়েকজন আহত হয়েছেন।'
অন্যদিকে পাবনা–৪ (ঈশ্বরদী–আটঘরিয়া) আসনের জামায়াতের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মন্ডল বলেন, 'আমরা অস্ত্রের রাজনীতি করি না। আমাদের কোনো কর্মীর হাতে অস্ত্র ছিল না। আমরা গণসংযোগে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিএনপির সন্ত্রাসীরা হঠাৎ হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মীকে আহত করেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে।'
ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুর নূর জানান, 'দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, পাবনা–৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান। জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আছেন জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মন্ডল। চরগড়গড়ি গ্রামে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। দুই দিন আগে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
গতকাল বিকেলে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী গণসংযোগে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে আবার কথাকাটাকাটি, হাতাহাতি ও সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে কয়েকটি গুলি ছোড়া হয় এবং কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন