[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নেত্রকোনায় সরকারি গাছ কাটায় বিএনপি নেতা নামে মামলা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
১৮ নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছগুলো কাটা হয়। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিঘলী-আলমপুর সড়কে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় একটি গ্রামীণ সড়কের পাশে থাকা ৩১টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় রেজাউল হাসান ভূঁইয়া ওরফে সুমন (৩৮) নামে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত সোমবার উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আসামি রেজাউল হাসান ভূঁইয়া মাসকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও পিজাহাতি গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, মাসকা ইউনিয়নের দিঘলী-আলমপুর কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। চার কিলোমিটার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ওই রাস্তার সংস্কার কাজ পেয়েছে মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান ভূঁইয়া দিঘলী এলাকায় সড়কের পাশে থাকা সরকারি ৩১টি মেহগনি গাছ কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা টেন্ডার ছাড়াই কেটে ফেলেন। গাছগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার রেজাউল হাসান ভূঁইয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ১৮ নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছগুলো কাটা হয়। এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে উপজেলা প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে ঠিকাদারের লোকজন গাছগুলো কেটে নেন।

দিঘলী গ্রামের বাসিন্দা জিলু মিয়া বলেন, ‘সরকারিভাবে আমাদের জমির পাশে রাস্তায় প্রায় ২৫ বছর আগে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, গাছ বিক্রি হলে আমরা কিছু অংশ পাব। তাই দীর্ঘদিন ধরে আমরা গাছগুলো দেখাশোনা করছিলাম। কিন্তু রাস্তা পাকা করার অজুহাতে ইউএনওর নাম ব্যবহার করে বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান ভূঁইয়া গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছেন।’

একই গ্রামের সনজু রহমান জানান, ১৮ নভেম্বর সকাল থেকে গাছগুলো কাটার পর রাতে সরানোর সময় সন্দেহ হলে গ্রামবাসী শিমুলতলা বাজারের কাছ থেকে ৩৯টি ডোম (কাটা অংশ) আটক করে প্রশাসনকে জানায়।

এ বিষয়ে জানতে রেজাউল হাসান ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, রাস্তা প্রশস্ত ও পাকা করার জন্য নিজ খরচে গাছগুলো কেটেছেন। নির্মাণকাজের সময় কম থাকায় দ্রুত গাছ কাটতে হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে কাটা গাছগুলো সব এক জায়গায় রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘ঠিকাদার ইচ্ছা করলেই এভাবে গাছ কাটতে পারেন না। ইউএনওর নাম ভাঙিয়ে গাছ কাটাও বেআইনি। সহকারী ভূমি কমিশনারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।’

কেন্দুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন