[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

গাজীপুরে বাসায় স্ত্রী গলাকাটা লাশ, স্বামী গুরুতর জখম

প্রকাশঃ
অ+ অ-
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় নারীর লাশ ও তাঁর স্বামীকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ওই বাড়ির সামনে ভিড় জমান। আজ শনিবার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

গাজীপুর মহানগরীর একটি বাসা থেকে গলাকাটা অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই নারীর স্বামীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার মধ্যরাতে মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকালে ওই দম্পতির ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

নিহত নারীর নাম রহিমা বেগম (৩৮)। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিনোয়াটি গ্রামের শাজাহান সরকারের মেয়ে। তার স্বামী ইমরান হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমরান হোসেন ও রহিমা বেগম তাঁদের মেয়েকে নিয়ে কোনাবাড়ীর নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনের ভাড়া বাসায় থাকতেন। ইমরান এলাকায় মাংস বিক্রির কাজ করতেন, স্ত্রী ঘর সামলাতেন। আজ সকালে পুলিশ খবর পায়, স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা থেকে পুলিশ ভোরে তাঁদের লাশের সুরতহাল করতে যায়। এ সময় অর্ধগলাকাটা ইমরান হোসেনকে হাত নড়াচড়া করতে দেখা যায়। পরে তাকে দ্রুত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই দম্পতির মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে টিকটক করত। সে জানিয়েছে, তার বাবা প্রথমে মাকে হত্যা করেন এবং পরে নিজেই গলা কাটেন। এটি সে নিজের চোখে দেখেছে। কিন্তু আমরা তার কথা এখনও পুরোপুরি বিশ্বাস করছি না। এজন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।’

ওসি জানান, নিহত রহিমা বেগমের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামীকে একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন