কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

 শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন  | ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কারামুক্ত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে তিনি কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগে ২৪ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় হাইকোর্ট।

আজ রাতে কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন ও গণমাধ্যম) মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ প্রথম আলোকে জানান, হাফিজুর রহমানের জামিন সংক্রান্ত আদালতের আদেশের কপি আজ দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এরপর বিকেলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

গত ২৮ আগস্ট সকালে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম ছিল, তবে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

সকাল ১০টায় আলোচনা সভা শুরু হলে প্রথমে বক্তব্য দেন হাফিজুর রহমান। তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে তারা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে অংশগ্রহণকারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের একটি দল এসে বিক্ষোভকারীদের থেকে লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে উদ্ধার করে।

আটকেরও বেশি সময় ধরে আটক থাকার পর ২৮ আগস্ট রাত পৌনে একটার দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করে। শুনানির পর ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয়। এতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকে। পরবর্তীতে ওই মামলায় হাফিজুর রহমানকেও জামিন দেওয়া হয়।