আগারগাঁওয়ে চলছে ভোট দেওয়ার অনুশীলন
![]() |
| আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ‘মক ভোটিং’ (ভোট দেওয়ার অনুশীলন) চলছে। আজ শনিবার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ‘মক ভোটিং’ চলছে। আজ শনিবার সকাল ৮টায় এই কার্যক্রম শুরু হয় এবং চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই মক ভোটের আয়োজন করেছে।
![]() |
| নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। আজ শনিবার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুল প্রাঙ্গণের বাইরে নারী ও পুরুষ ভোটারের জন্য তিনটি করে মোট ছয়টি বুথ রাখা হয়েছে, যেখানে তারা ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে পারছেন। ভোটাররা প্রথমে বুথে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে স্লিপ নেন। এরপর একে একে তারা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন।
![]() |
| ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় কালি লাগানো হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ভোটকেন্দ্রের বাইরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে এসব বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষ ভোটারের জন্য পৃথকভাবে দুটি করে মোট চারটি ভোটকক্ষ করা হয়েছে। কক্ষের সামনে ভোটারদের ভিড় ছিল এবং পরিবেশ অনেকটাই বিশৃঙ্খল ছিল। এ পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসা নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘কিছুই হচ্ছে না।’ এরপর কমিশনের কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।
![]() |
| রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ভোটারদের লাইন। আজ শনিবার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পরে ভোটারদের আবার নতুন করে সারিতে দাঁড় করানো হয়। মক ভোটার, মক পর্যবেক্ষক ও মক সাংবাদিকরা কোথায় থাকবেন, কী দায়িত্ব পালন করবেন—সেসব বিষয় বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এর পর কেন্দ্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসে।
![]() |
| কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আজকের মক ভোটিং মূলত অনুশীলন। এখান থেকে ভবিষ্যৎ নির্বাচনের জন্য অভিজ্ঞতা ও কৌশল নির্ধারণ করা হবে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন। ভিন্ন রঙের দুটি ব্যালট দেখে তারা গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের পার্থক্য সহজেই বুঝতে পারছেন। ভোটের পরিবেশও সুষ্ঠু রয়েছে।
আখতার আহমেদ বলেন, এ অনুশীলন কমিশনকে সময়, ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের হিসাব বুঝতে সহায়তা করবে। ভোটের হার যতই হোক, লক্ষ্য সব সময় সঠিকভাবে কাজ করা। প্রচার-প্রচারণা চলবে এবং ভোটারদের অভিজ্ঞতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আজকের আয়োজন কমিশনের জন্য একটি শেখার প্ল্যাটফর্ম।
![]() |
| ভোট দিতে আসা একজন ভোটার হুইলচেয়ারে বসে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন