সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের
![]() |
| বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভে নেমেছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় তাঁরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।
বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। মহাসড়কের আরও কয়েকটি জায়গায়ও অবরোধের খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এদিন বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে প্রার্থী করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালান। এই সময় তারা ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলিনি’ এবং ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এর মতো স্লোগান দেন।
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দী হয়েছেন। দীর্ঘ সময় জেল ও অত্যাচার সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাঁকে বঞ্চিত করছে। তাই তারা এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না এবং প্রতিবাদ হিসেবে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালীন বলেন, প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আবেগ সামলাতে পারেননি। তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে মহাসড়কে বের হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। সীতাকুণ্ডের অন্তত ৩০টি স্থানে তারা মহাসড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
ঘোষিত প্রার্থী কাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম আমাকে যোগ্য মনে করেছে, তাই মনোনয়ন পেয়েছি। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। এর আগে ২০১৪ সালে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছি।’
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মাথা, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট ও কদমরসুল এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক বন্ধ আছে। পুলিশ তাদের সরাতে চেষ্টা চালাচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন