[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ছাত্রদল নেতার হত্যার পর স্বজনদের লাশ নিয়ে থানায় বিক্ষোভ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা নেওয়ার দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ। শুক্রবার রাতে সদর থানায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাদ্দাম হোসেনকে (৩৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা নেওয়ার দাবিতে লাশ নিয়ে থানায় বিক্ষোভ করেছেন স্বজনেরা। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা থেকে তাঁরা থানা চত্বরে অবস্থান নেন। রাত নয়টায় এই প্রতিবেদনের লেখা পর্যন্ত স্বজনেরা থানা চত্বরে ছিলেন।

রাত সোয়া আটটার দিকে নিহত সাদ্দামের বাবা মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তু মিয়া বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এখনো এটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। বাদী মোস্তফা কামাল বলেন, ‘মামলার কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থানা চত্বর ত্যাগ করব না।’

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা হত্যায় জড়িত। নিহত সাদ্দাম সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য। তিনি শহরের কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির মোস্তফা কামালের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে আছে।

সাদ্দামের বাবা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গতকাল রাত দেড়টার দিকে সাদ্দাম বাসায় ভাত খাচ্ছিলেন। তখন দেলোয়ার হোসেন, তাঁর সহযোগী পলাশ ও বাবুল মিয়া তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। রাত দুইটার দিকে সাদ্দামের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাই। কান্দিপাড়ার শংকর শাহবাড়ির পাশের খালপাড় নতুন সেতুর কাছে গিয়ে দেখলাম, দুজন সাদ্দামকে টানাহেঁচড়া করছে। তাঁকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

ময়নাতদন্ত শেষে আজ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে নিহত সাদ্দামের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর স্বজনেরা লাশ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। একপর্যায়ে তারা লাশ নিয়ে সদর থানায় যান এবং থানায় লাশ রেখে মামলা নেওয়ার দাবিতে অবস্থান নেন।

এই সময় থানার ফটকের বাইরে স্বজনদের সঙ্গে এলাকাবাসীও জড়ো হন। রাত সোয়া আটটার দিকে স্বজনেরা মামলার লিখিত এজাহার নিয়ে থানায় পৌঁছান। সদর থানার ওসি দ্রুত এজাহার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে আটটার দিকে তারা লাশ নিয়ে থানার চত্বর ত্যাগ করেন। ১৫ মিনিট পর আবার লাশ থানা চত্বরে এনে অবস্থান শুরু করেন।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁরা মামলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর স্বজনেরা এজাহার নিয়ে থানায় আসেন। এরপর এজাহার পেয়েছেন। এ নিয়ে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোনো আটক নেই। গুলির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন