[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ছোট ভাই জামায়াত মনোনীত প্রার্থী, এবার বড় ভাই পেলেন বিএনপির মনোনয়ন

প্রকাশঃ
অ+ অ-
দুই ভাই আজিজুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান (ডানে) | ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম–৪ (চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর) আসনে একই পরিবারের দুই ভাই দুই দলের প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আজিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে জামায়াতে ইসলামী এখানকার প্রার্থী করেছে তাঁর ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। সেখানে কুড়িগ্রাম–৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় আজিজুর রহমানের নাম।

দুই ভাইয়ের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার বিষয়। চিলমারীর প্রবীণ রাজনীতিক আজগার আলী বলেন, ‘এই অঞ্চলের ইতিহাসে এমন দৃশ্য প্রথম। ভাইয়ের বিপরীতে ভাই—এটা নির্বাচনী মাঠে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখন জনমনে প্রশ্ন, কে এগিয়ে থাকবেন?’

কুড়িগ্রাম–৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭১১, নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছেন ৯ জন। এই ভোটারদের মন জয় করতে দুই ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচনে নতুন রং এনেছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কুড়িগ্রাম–৪ আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি ও জামায়াত—দুই দলই দীর্ঘদিন ধরে এখানে শক্ত অবস্থানে আছে। আজিজুর রহমান রৌমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তাঁর ভাই মোস্তাফিজুর রহমান রৌমারী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির।

জামায়াতের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ‘আমার বড় ভাই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন। তিনি যদি সত্যিই মনোনয়ন পান, তাতেও আমাকে হারানো যাবে না। জামায়াতের জনপ্রিয়তা এখন অনেক বেড়েছে। দুই ভাই প্রার্থী হলেও নির্বাচনে তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না।’

বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ছোট ভাই একসময় বিএনপিতে ছিল। আমার কারণেই সে রাজনীতিতে এসেছে। পরে জামায়াতে যোগ দিয়ে এখন ওই দলের প্রার্থী হয়েছে। আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না করলে সে পারিবারিক ইমেজের কারণে এককভাবে সুবিধা নিতে পারত। কিন্তু আমি প্রার্থী হওয়ায় সেই সুযোগ আর নেই। জনগণ আমাকেই চাইছে। তাই আশা করি, দল আমাকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেবে।’

কুড়িগ্রাম-৪ আসন
Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন