[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সব ধরনের মব ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে: প্রেস সচিব

প্রকাশঃ
অ+ অ-
নেত্রকোনার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শুক্রবার সকালে  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, 'দেশে এখন কোনো ধরনের জনদ্রোহ বা মব ভায়োলেন্স নেই। আগে অবশ্য দেশে মব ভায়োলেন্স হয়েছে। আমাদের সময়ও কিছু মব ভায়োলেন্স হয়েছিল, এটা আমরা অস্বীকার করছি না; কিন্তু এখন সব ধরনের মব ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যারা মব ভায়োলেন্স নিয়ে ভয় পান বা কথা বলেন, তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। তারা স্বৈরাচারের সহযোদ্ধা।' 

আজ শুক্রবার সকালে নেত্রকোনার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমাদের সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। সংস্কার কমিশনের কাজেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কতটা সংস্কার হয়েছে, তার স্পষ্ট দলিল থাকবে। আর গণভোটের বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।'

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, 'এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন বন্ধ করার কারও ক্ষমতা নেই। সারা দেশে এখন নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এখনো যারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে বা নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তারা পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর।'

গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্যের প্রচার নিয়ে তিনি বলেন, '৯ মাসে ৮৩ কোটি টাকা খরচ করে আলী রীয়াজ পালিয়ে গেছে বলে এক ব্যক্তি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন; কিন্তু এই টাকার হিসাব তিনি কোথা থেকে পেলেন, আমি জানি না। অনেক মিথ্যা বললে জনপ্রিয়তা বাড়ে। তাই জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকেই মিথ্যাচার করেন।'

শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘বিদেশে প্রচলন আছে—টেলিভিশনে যাঁকে আপনি টক শোতে আনবেন, তিনি অত্যন্ত সত্যবাদী মানুষ হবেন এবং তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে; কিন্তু আমাদের দেশে এটার বিপরীত। একজন লোক যদি ডাহা মিথ্যা কথা বলেন, তাঁকে আপনি টক শোতে আনছেন। কারণ, তাঁকে আনলে আপনার টক শো গরম হবে; টিভির জনপ্রিয়তা বাড়বে। তাহলে কী হলো? টিভি হিসেবে আপনি জোর করে তাকে দিয়ে বলা মিথ্যা কথাটা জনগণকে দিচ্ছেন। এই মিথ্যা প্রচারিত হচ্ছে। এগুলো জেনেও তাকে আপনি ডেকে আনছেন। আমরা মাইলস্টোন নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা সেন্ট মার্টিন নিয়ে দেখেছি, এমন কোনো মিথ্যাচার বাদ যায়নি যা বলা হয়নি। উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা মিনিস্ট্রি নিয়ে মিথ্যাচার দেখছি, সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান প্রমুখ। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন