[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত

প্রকাশঃ
অ+ অ-
শরীফ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশালমিছিল বের করেন সুলতানুল ইসলামের অনুসারীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তানোর উপজেলা সদরে | ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তানোর উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শরীফ উদ্দিনকে এ আসনে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একই আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য সুলতানুল ইসলামের অনুসারীদের সঙ্গে শরীফ উদ্দিনের অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, শরীফ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে মশাল মিছিল বের করেন সুলতানুল ইসলামের অনুসারীরা। এ সময় শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা মিছিলে ইটপাটকেল ছোড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন এবং কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সুলতানুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁরা দল করেন, আমরাও দল করি। প্রার্থী পছন্দ না হলে সারা দেশেই বিক্ষোভ হচ্ছে, আমাদের এখানেও হচ্ছে। আমার অনুসারীরাও সন্ধ্যায় প্রার্থী বদলের দাবিতে মশাল মিছিল বের করেন। এতে শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা হামলা করেন। তিনি তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছেন, এলাকায় যেন কোনো বিক্ষোভ না হয়। তাই মিজানুরের লোকজন এ হামলা করেছে। আমরা এ বিষয়ে অবশ্যই থানায় অভিযোগ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের বহনকারী অন্তত ১৮টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব অটোরিকশায় চড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা উপজেলা সদরে এসেছিলাম। গাড়িগুলো ভাঙচুরের পর চাবি নিয়ে চলে গেছে।’

এ বিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান ও তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।

গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর্জা মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘এখন যে কেউ মিছিল-মিটিং করতে পারে। দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন