[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বাউলদের ওপর হামলা স্বাধীন মতের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত পদক্ষেপ: গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বিবৃতি | প্রতীকী ছবি

দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাউল–ফকিরদের ওপর হামলা পরিকল্পিত দমননীতির অংশ বলে মনে করছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ কথা জানায়।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এ বিবৃতি দেয় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর ভক্তদের ওপর হামলার ঘটনা সারা দেশে বাউল–ফকির, লোকসংস্কৃতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর পরিকল্পিত দমননীতির অংশ। এটি দেশজুড়ে মাজারে হামলা, বাউল–ফকিরদের ওপর নির্যাতন ও ভয়–ভীতি দেখানোর ধারাবাহিকতা।’

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি জানায়, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি, বিভিন্ন এলাকায় বাউলদের ওপর হামলা হয়েছে, তাদের বাদ্যযন্ত্র নষ্ট করা হয়েছে এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে। অথচ হামলাকারীদের ধরা হয়নি, উল্টো ভুক্তভোগীদের হয়রানি করা হচ্ছে। আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই ভূমিকা খুবই নিন্দনীয়। অভ্যুত্থানের পরও ভিন্নমত দমন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা গণতান্ত্রিক প্রত্যাশার পরিপন্থী।’

বিবৃতিতে অধিকার কমিটি আরও জানায়, ভিন্নমত দমনের উদ্দেশ্যে কয়েক ঘণ্টার ভিডিও কেটে কয়েক সেকেন্ডের অংশ অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তা আল্লাহর বিরুদ্ধে কটূক্তি বলে প্রচার করা হয়েছে। উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো বাউলদের নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে দমন–পীড়নের চেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, যা ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাউল–ফকিরদের ওপর বৈরিতা ও হামলা নতুন নয়। শেখ হাসিনার সময়ও টাঙ্গাইলের বাউল রীতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে একইভাবে কয়েকটি মামলা করা হয় এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অতিডানপন্থীদের দাপট বেড়েছে। সরকারের দিক থেকেও তারা আশকারা পেয়েছে।

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি অবিলম্বে বাউল আবুল সরকারের নিঃশর্ত মুক্তি, তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর সমর্থক বাউলদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তাতে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন