[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রিকশাচালক খোকন মিয়াকে | ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর চাচাতো ভাই ও স্বজনদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তিনি মারধরের শিকার হন।

নিহত মো. খোকন মিয়ার (৪০) বাড়ি উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের করমা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করমা গ্রামের কছিম উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন দুই ভাই ছিলেন। গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুতে কয়েক বছর আগে জমি নিয়ে কছিম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ছেলেদের বিরোধ শুরু হয়। এর আগে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।

স্থানীয়দের বক্তব্য, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিকশা রেখে ঘর থেকে বের হন খোকন মিয়া। এ সময় গিয়াস উদ্দিনের ছেলে, মগটুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, তাঁর ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য তাঁকে ধরে পিটিয়ে দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায়ও আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। রাত একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোকনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম | ছবি: সংগৃহীত

নিহত খোকন মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। বাবার হত্যার খবরে আজ শনিবার সকালে এলাকায় যান। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে আমার বাবাকে নজরুল ও তাঁর ভাইরা হত্যা করেছে। তাদের বিচার চাই।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাত দেড়টার দিকে খোকন মিয়াকে উদ্ধার করি। তখনও তিনি জীবিত ছিলেন, কথা বলেছেন, পানি খেয়েছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তার দুই হাত ও দুই পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মাথাতেও আঘাত ছিল।’ 

ওসি আরও জানান, হত্যায় ছাত্রদল নেতা নজরুল, তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীরাও জড়িত। ইতিমধ্যে জ্যোৎস্না আক্তার ও সোহাগ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক। তাই তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘জমি নিয়ে চলা বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু কেউ মানেনি। হত্যার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় থাকে না। সে আমাদের সংগঠনের পদ রাখার যোগ্য নয়। তাকে বহিষ্কার করা সময়ের ব্যাপার। বিষয়টি আমরা জেলাকে জানাচ্ছি।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন