[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

চার কোটি টাকার স্লুইসগেট এখন পানির নিচে

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ক্ষতিগ্রস্ত স্লুইসগেট। গত শুক্রবার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় চাতরী ইউনিয়নে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

স্লুইসগেটটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় চার কোটি টাকা। উদ্দেশ্য ছিল জোয়ারের পানি আটকিয়ে ছয় গ্রামের চাষাবাদ নিশ্চিত করা। কিন্তু এত টাকা খরচের পরও এলাকাবাসী কোনো সুফল পাননি। স্লুইসগেটটি এখন পানির নিচে, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় ছয় গ্রামের প্রায় ৬০০ একর জমি।

দৃশ্যটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের। ইউনিয়নের বাকখাইন কান্দরিয়া খালের মুখে ২০১৮ সালে স্লুইসগেটটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি শেষ হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু জোয়ারের পানির ধাক্কায় এক বছরের মধ্যেই, ২০২১ সালে, গেটটির নিচ থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। একপর্যায়ে স্লুইসগেট প্রায় পানির নিচে চলে যায়। ফলে জোয়ারের পানিতে ছয় গ্রামের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক পুকুর ও ডোবাও নিয়মিত ভেসে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই স্লুইসগেটের ওপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ইউনিয়নের বাকখাইন গ্রামের শিক্ষার্থী ও লোকজন আনোয়ারা সদরে যাতায়াত করতেন। কিন্তু স্লুইসগেট তলিয়ে যাওয়ায় এখন শিকলবাহা খাল পাড়ি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ কারণে দুই বছর ধরে চাতরী ইউনিয়নের কেঁয়াগড়, সিংহরা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড, ডুমুরিয়া, রূদুরা এবং পটিয়া উপজেলার বাকখাইন গ্রামের নিচু জমিতে চাষাবাদ বন্ধ আছে। জোয়ারের পানি বাড়লে অনেক সময় বসতবাড়ির আঙিনাতেও পানি উঠে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শামীম আহমদ সরকার বলেন, স্লুইসগেটের কারণে ছয় গ্রামের প্রায় ৬০০ একর জমিতে চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এতে ওই এলাকার চাষিদের নানা সংকটে পড়তে হচ্ছে।

গত শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্লুইসগেটটির সামান্য অংশই পানির ওপর ভাসছে। দূর থেকে গেটটির অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। লোকজন চলাচল না করায় স্লুইসগেটের দুই পাশের খালের অংশ এখন ঝোপঝাড়ে ভরা।

কেঁয়াগড় গ্রামের বাসিন্দা ও স্কুলশিক্ষক হৃষীকেশ দত্ত বলেন, ‘আমরা জমিতে বছরে তিনবার চাষাবাদ করতাম। কিন্তু দুই বছর ধরে তা আর হচ্ছে না। অকেজো স্লুইসগেটই এখন গলার কাঁটা।’

তবে ওই এলাকায় নতুন করে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ। তিনি বলেন, স্লুইসগেট নতুন করে নির্মাণের একটি প্রকল্পের কার্যাদেশ ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা। বৃষ্টি কমলে দ্রুত কাজ শুরু হবে। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন