[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাপ্পড়ের ঘটনায় মহাসড়কে সংঘর্ষ, ৩০ জন আহত

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনাযকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর লোকজন টর্চলাইট জ্বালিয়ে বুধবার রাতে মহাসড়কে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন‌ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে থাপ্পর দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি–সমর্থিত দুই গোষ্ঠীর লোকজন টর্চলাইট জ্বালিয়ে কুমিল্লা–সিলেট মহাসড়কে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষের কারণে রাত সোয়া ৮টা থেকে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার সুহিলপুর পূর্বপাড়ার আওয়ামী লীগ–সমর্থিত উকিলের গোষ্ঠী ও বিএনপি–সমর্থিত আজিজ মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। চার-পাঁচ দিন আগে নিজেদের মধ্যে তর্কের জেরে উকিলের গোষ্ঠীর সাবেক ইউপি সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন একই গ্রামের আজিজ মিয়ার গোষ্ঠীর আক্তার মিয়াকে থাপ্পড় দেন। এর পর থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষ সুহিলপুর বাজারে সালিস বসায়। কিন্তু সালিসে কোনো সমাধান না হওয়ায় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন রামদা, ছুরি, বল্লম ও ইটপাটকেল নিয়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে মহাসড়কে সংঘর্ষে জড়ায়। ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এই সময় কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়লেও সংঘর্ষ থামানো যায়নি। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেনা ও পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় রাত সোয়া ১১টায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাঁরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সাবেক ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন ও আক্তার মিয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সদর মডেল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন