কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে বিএনপি মাথা নত করে না: সালাহউদ্দিন

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন, রমনা, ঢাকা, ৪ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে বিএনপি কখনো মাথা নত করবে না।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র কোনো খেলনা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা ছিনিমিনি খেলতে পারি না। রাষ্ট্রকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে দিতে হবে। জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের মালিক।’

শনিবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘কোনো বৈধ ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া সংবিধান পরিবর্তনের অধিকার কারও নেই। এমন হলে দুই বা পাঁচ বছরের মধ্যে বারবার সংবিধান পরিবর্তনের দাবি উঠবে।’

তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে। ‘এই অভিপ্রায় বাস্তবায়নের জন্য সুপ্রিম কোর্ট ও আর্টিকেল ১০৬–এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও উপদেষ্টাদের শপথ দেখেছি। আমরা সেটিকে বৈধ প্রক্রিয়া মনে করি।’

সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ এই পদ্ধতি বোঝে না। তাহলে কি আমরা এ পদ্ধতি চাপিয়ে দিতে পারি? এ ধরনের কথাবার্তা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করা ঠিক নয়।’

তিনি আরও বলেন, যারা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশের ও জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে, তাদের জনগণের স্বার্থে সঠিক পথে ফেরার আহ্বান জানান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, নির্বাচনে অস্থিরতা তৈরি এবং বিলম্ব ঘটাতে একটি রাজনৈতিক দল কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে।’

তিনি বলেন, এখন বলা হচ্ছে, জুলাই সনদ অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে যেসব বিষয় ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। সংবিধানের অংশ বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী সংসদ ও সংবিধান সংশোধনের নির্ধারিত প্রক্রিয়া প্রয়োজন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হারুন। এতে বক্তব্য দেন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণদলের সভাপতি এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।