[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ধারের ৫০ টাকা নিয়ে বিরোধ, মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয় সহপাঠী

প্রকাশঃ
অ+ অ-
আমির হামজা | ছবি: পরিবারের কাছ থেকে সংগৃহীত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ধারের ৫০ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র আমির হামজা হানজালাকে (১৩) হত্যা করেছে একই মাদ্রাসার আরেক ছাত্র (১৬)। ওই কিশোরের ব্যবহৃত একটি কাঁথার সূত্র ধরে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এসব তথ্য জানান ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মো. আজম খান।

নিহত আমির হামজা আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের সায়েমউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। সে গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দড়া নূরানী তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার জামাতখানা বিভাগে পড়ত। গ্রেপ্তার কিশোরও একই মাদ্রাসার ছাত্র।

সহকারী পুলিশ সুপার আজম খান বলেন, গ্রেপ্তার কিশোর প্রায়ই আমির হামজার কাছ থেকে অল্প অল্প করে টাকা ধার নিত। সর্বশেষ ৫০ টাকা ধার নেওয়ার পর অনেক দিন ধরে ফেরত দেয়নি। এ নিয়ে হামজা বারবার টাকা চাইলে সে বিরক্ত হয়। গত রোববার বিকেলে কিশোরটি বলে, বাড়ি থেকে টাকা এনে দেবে। এরপর সাইকেলে করে হামজাকে সঙ্গে নিয়ে যায়।

এএসপি আজম খান আরও বলেন, মাদ্রাসার পাশে একটি বাগান আছে, যেখান থেকে কিশোরটির বাড়ি প্রায় ৫০০ গজ দূরে। সেখানে টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কিশোরটি হামজার গলা টিপে ধরে, এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে হামজা মারা যায়।

ঘটনার পর সন্ধ্যা হয়ে গেলে সে লাশ বাগানে ফেলে মাদ্রাসায় ফিরে আসে। সেখানে হাজিরা দিয়ে একটি কাঁথা নিয়ে আবার বাগানে যায়। পরে নিজের বাড়ি থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তা এনে হামজার লাশ বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে পাঁচটি ইট ভরে দেয়, যাতে সেটি পানিতে না ভাসে। এরপর বস্তাটি বাগানের পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পুকুর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকাবাসী বস্তাটি দেখতে পায়। পরে পুলিশ গিয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

এএসপি আজম খান বলেন, এটি একটি স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড ছিল। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য চারটি আলাদা টিম গঠন করা হয়েছিল। তদন্তে দেখা গেছে, আমির হামজা বিকেলে কারও সঙ্গে সাইকেলে উঠেছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা কাঁথা ও মাদ্রাসার ওই কিশোরের ব্যবহৃত কাঁথা এক হলে পুলিশ হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। তবে এ হত্যার পেছনে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জালাল আলম বলেন, এ ঘটনায় হামজার বাবা সায়েমউদ্দিন বিশ্বাস বাদী হয়ে গতকাল আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে সে আলফাডাঙ্গা থানা হেফাজতে আছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। 

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন