মাউশির মহাপরিচালক পদে থাকতে চান না মুহাম্মদ আজাদ খা

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগের পর তিনি নিজেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে অব্যাহতির আবেদন করেছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত সোমবার আলোচনা শুরু হয় অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের পদচ্যুতির বিষয়ে। কারণ, ওই দিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাউশির মহাপরিচালকের পদে নিয়োগ দিতে আবেদন আহ্বান করেছে।

মাউশির মহাপরিচালকের পদটি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শীর্ষ পদ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পদে আবেদন আহ্বান করা নজিরবিহীন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মাউশির মহাপরিচালকের পদে আগ্রহী বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের ১৬তম ব্যাচ এবং তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ সরাসরি (সশরীর) আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আগ্রহী প্রার্থীকে সৎ, দায়িত্বপরায়ণ এবং প্রশাসনিক কাজে দক্ষ হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকরা সন্তুষ্ট নন। এ কারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এ পদে যেন কেউ তদবির করে নিয়োগ পেতে না পারেন, তার জন্য সাক্ষাৎকার ও যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

এ অবস্থায় অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খান নিজেই অব্যাহতির আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি লিখেছেন, স্বাস্থ্যগত কারণে তাঁর পক্ষে দায়িত্ব পালন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই তিনি মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাচ্ছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে মাউশির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। তিনি অবসরে যাওয়ার পর গত ৩০ জানুয়ারি রসায়নের অধ্যাপক এহতেসাম উল হক এই পদে নিয়োগ পান। আগে তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের পর শিক্ষকমঞ্চের চাপের মুখে মাত্র ২০ দিনের মাথায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং ওএসডি করা হয়। এরপর জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে মাউশির নতুন মহাপরিচালক করা হয়। তিনি ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।