[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে দলগুলোর ঐকমত্য না হলে কমিশনের বিকল্প প্রস্তাব

প্রকাশঃ
অ+ অ-

রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চতুর্থ দিনের আলোচনা করেছে ঐকমত্য কমিশন। জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান–সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে এই আলোচনা হয়। আজ রোববার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রস্তাব দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চতুর্থ দিনের আলোচনার শুরুতে কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে এই আলোচনা হচ্ছে।

কমিশন আজ মূলত দেখতে চাইবে, দলগুলোর মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে মতপার্থক্য কতটা কমেছে। চাইলে কমিশন দলগুলোর জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শগুলোও প্রস্তাব আকারে তুলে ধরবে।

জুলাই জাতীয় সনদ ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত হলেও বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। আজ আলোচনা শেষ করার কথা থাকলেও তা না হলে আরও এক দিন আলোচনা চলতে পারে। কমিশন চায়, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দলগুলোর স্বাক্ষরের মাধ্যমে সনদকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হোক।

আলী রীয়াজ বলেছেন, 'জুলাই সনদের বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা বলেছি, এই ছয়টি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে যদি একটি যৌথ প্রস্তাব তৈরি করা যায়, তা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। উপস্থিত ৩০টি রাজনৈতিক দল যদি এক প্রস্তাবে একমত হয়, তাহলে আমরা বলতে পারব, এটিই বাস্তবায়নের পথ। অন্তর্বর্তী সরকার এ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।'

তিনি জানান, '১৭ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় যেসব বিষয় উঠে এসেছিল, সেগুলো বিশেষজ্ঞরা উপস্থাপন করেছেন। তার ভিত্তিতেই কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং আগের অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়েছে।' 

আলী রীয়াজ বলেন, 'দলগুলো যদি একমত হতে পারে, বাস্তবায়ন সহজ ও দ্রুত হবে।' তিনি জানান, কমিশন সকালে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছে। প্রধান উপদেষ্টা সব সময় এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন এবং দ্রুত কাজ এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। বিশেষত সনদকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে সবার স্বাক্ষরিত রাজনৈতিক দলিলে পরিণত করা গেলে তা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, '১৫ অক্টোবরের আগে এই প্রক্রিয়া শেষ করা জরুরি। নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যস্ত থাকলেও আমরা চাই, এই কাজ যেন বাধা না পায়। মেয়াদও ১৫ অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে।' 

আলী রীয়াজ বলেন, দলগুলো যদি দলগত স্বার্থের বাইরে গিয়ে সম্মিলিতভাবে কোনো প্রস্তাব দেয়, কমিশন সেই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করবে। যদি ৩০টি দল একমত হয়, তাহলে আর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার প্রয়োজন হবে না, তবে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বৈঠক করা হবে।

বৈঠকে আলী রীয়াজের সঙ্গে ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন