[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে লালন সন্ধ্যা, ফরিদা পারভীনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

প্রকাশঃ
অ+ অ-
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা | ছবি: ভারতীয় হাইকমিশনের সৌজন্যে

ফকির লালন শাহের ১৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন ‘লালন সন্ধ্যা’ শীর্ষক একটি সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করেছে। বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে লালনগীতির জনপ্রিয় শিল্পী ফরিদা পারভীনের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে শিল্পী, গবেষক, সংগীতপ্রেমী, যুবসমাজসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ফকির লালন শাহের জীবন ও সংগীতের মাধ্যমে প্রতিফলিত ভারত ও বাংলাদেশের চিরন্তন আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, 'লালনের অন্তর্ভুক্তি, সম্প্রীতি, সহমর্মিতা ও মানবতার দর্শন জাতীয় সীমানাকে অতিক্রম করে। দুই দেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক যাত্রায় এটি প্রেরণার উৎস হিসেবে অব্যাহতভাবে কাজ করছে।'

ফরিদা পারভীনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, 'তাঁর সংগীত প্রজন্মসমূহ এবং উভয় দেশের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করেছে। বিভিন্ন উৎসবে তাঁর পরিবেশন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতু হিসেবে কাজ করেছে।' তিনি আরও বলেন, 'এই অনুষ্ঠান কেবল স্মৃতিচারণ নয়, বরং দুই দেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক পরম্পরাকে উদ্‌যাপনেরও একটি সুযোগ।'

‘লালন সন্ধ্যা’ শীর্ষক সংগীত সন্ধ্যায় একটি পরিবেশনা | ছবি: ভারতীয় হাইকমিশনের সৌজন্যে

অনুষ্ঠানের সূচনা হয় লালন ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও জনপ্রিয়করণে ফরিদা পারভীনের অতুলনীয় অবদান স্মরণে সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে। এতে ছিল ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মুচকুন্দ দুবের অনুবাদে হিন্দিতে ফরিদা পারভীনের গানের প্রদর্শনী; তাঁর স্বামী, একুশে পদকপ্রাপ্ত গাজী আবদুল হাকিমের বাঁশির পরিবেশনা; তাঁর শিষ্য বিউটির সুরেলা আবৃত্তি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত অচিন পাখি কালচারাল একাডেমির শিক্ষার্থীদের দলগত সংগীত পরিবেশনা।

এই সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল চন্দনা মজুমদার ও কিরণ চন্দ্র রায়ের মনোমুগ্ধকর একক পরিবেশনা, যাঁরা সমসাময়িক বাংলাদেশে লালন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত। কুষ্টিয়া থেকে আসা টুনটুন বাউল ও তাঁর দল খাঁটি বাউল সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের বিমোহিত করেন।

অনুষ্ঠানে লালন বিশ্ব সংঘের প্রতিষ্ঠিত লেখক আবদেল মান্নান লালনের শিক্ষা, দর্শন, জীবন ও কর্ম এবং আজকের বিশ্বে সেগুলোর প্রাসঙ্গিকতা কীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সে সম্পর্কে একটি অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।

লালন সন্ধ্যার শেষ পর্বে সুমির নেতৃত্বাধীন ব্যান্ড লালনের প্রাণবন্ত ও আধুনিক পরিবেশনা লালনের বার্তা কীভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অব্যাহতভাবে বিকশিত হচ্ছে, সেটাকে জোরালোভাবে তুলে ধরে।

এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে বিশিষ্ট অভিনেতা আফজাল হোসেন পুরোটা সন্ধ্যার বৈচিত্র্যময় পরিবেশনাজুড়ে লালনের জীবন ও দর্শনের মূল্যবান মুহূর্তগুলো একত্রে গেঁথে উপস্থাপন করেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন