জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত নীতিমালা প্রকাশ

অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫–এর জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত কোটা ও মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। নীতিমালা প্রকাশিত হয়েছে গত রোববার (৫ অক্টোবর)।
নতুন নীতিমালার ভিত্তিতে, অনুমোদিত মাধ্যমিক বা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ন্যূনতম ২০ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এছাড়া, যদি কোনো শিক্ষার্থী অন্য বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ভর্তি হয়, তবে আগের প্রতিষ্ঠানের মেধাক্রম অনুযায়ী তার নাম তালিকায় রাখতে হবে।
যে কোনো শিক্ষার্থী নয় এমন কেউ পরীক্ষায় অংশ নিলে, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা হবে। এই বিষয়গুলো হলো: বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে প্রতিটিতে পূর্ণমান ১০০। বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে পূর্ণমান ৫০+৫০=১০০, মোট নম্বর ৪০০।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
জুনিয়র বৃত্তি দুই ধরনের—ট্যালেন্টপুল বৃত্তি এবং সাধারণ বৃত্তি। উভয় বৃত্তিতেই ৫০ শতাংশ ছাত্র ও ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ট্যালেন্টপুল বৃত্তি উপজেলা বা থানাভিত্তিকভাবে এবং জাতীয়ভাবে নির্ধারিত মোট বৃত্তির অনুপাতে বিতরণ করা হবে। যদি সংখ্যার হিসাব বিজোড় হয়, তাহলে সর্বশেষ প্রার্থীকে নয়, অধিক নম্বরধারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। সাধারণ বৃত্তিও একই নিয়মে উপজেলা বা থানাভিত্তিকভাবে দেওয়া হবে।
পরীক্ষা নেওয়া হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও অনুসৃত প্রশ্ন কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে। শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে তাদের মেধা বা কোটাভিত্তিক জুনিয়র বৃত্তি প্রদান করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন