দাবি মানতে সরকারকে সময় বেঁধে দিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
![]() |
| রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা শিক্ষা উপদেষ্টার দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি বিকেল চারটা পর্যন্ত পেছানো হয়েছে। তাঁরা এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করবেন।
শিক্ষকনেতাদের ভাষায়, আজ সকালে শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব আসে। তবে তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করার বিষয়ে অনড় রয়েছেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ শহীদ মিনারে গিয়ে লংমার্চ পেছানোর অনুরোধ জানায়। এ সময় ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর মুঠোফোনে একটি কল আসে। পরে তিনি জানান, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ফোন করে লংমার্চ পেছাতে অনুরোধ করেছেন।
দেলাওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন জানিয়েছে, দাবি মেনে নেওয়া হবে, তবে প্রজ্ঞাপন জারি হতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা যাতে লংমার্চ না করি, সে অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তবে আমরা জানিয়েছি, প্রজ্ঞাপন ছাড়া লংমার্চ প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এর মধ্যে দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করব।’
আজ সকালে শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী অবস্থান করছেন।
তাঁদের তিনটি দাবি হলো— মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাতা, শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে খুলনা থেকে আসা কলেজশিক্ষক সুদাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘শিক্ষকেরা ন্যায়ের পথে চলেন, সৎভাবে শ্রম দেন। কিন্তু সে অনুযায়ী পারিশ্রমিক পান না। পেটে খিদে থাকলে পাঠদান হবে কীভাবে? সরকারের উচিত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন