[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

জামায়াত ৩০০ আসনের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়েছে: পরওয়ার

প্রকাশঃ
অ+ অ-
খুলনার সোনাডাঙ্গায় ছাত্রশিবিরের সদস্য পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। শুক্রবার নগরের আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, 'দ্বীনকে সংসদে পাঠানোর জন্য এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। যাঁরা একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সবাইকে আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।' 

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখার সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭–২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমিরে জামায়াত বলেছেন, মুসলমানদের সামনে ৫৪ বছরে ইসলামী আন্দোলনের শক্তিকে পার্লামেন্টে নেওয়ার এমন সুযোগ আর আসেনি। ভবিষ্যতেও আসবে কি না, আমরা জানি না। ফ্যাসিস্টরা আমাদের গর্তে ঢোকাতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাদের গর্তে ফেলে দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন।’

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, 'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। এজন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিটি কর্মীকে মাঠে নেমে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে।' 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠন যাকে যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটা মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য শুধু কাউকে বিজয়ী করা নয়, আন্দোলনকে বিজয়ী করার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।’

খুলনায় ছাত্রশিবিরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

‘সম্প্রীতির টানে শিকড়ের পানে’ শ্লোগানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গোলাম পরওয়ার আবেগঘন স্মৃতিচারণা করেন। তিনি খুলনার ছাত্রশিবিরের নেতা আমিনুল ইসলাম, মুন্সী আব্দুল হালিম, আমানুল্লাহ আমান, রহমত আলী, আবুল কাশেম পাঠান ও সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁদের ত্যাগ ও অবদান আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে।’ এ সময় মিলনায়তনে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, মহানগরের আমির মাহফুজুর রহমান, জেলার আমির এমরান হোসাইন, মহানগরের নায়েবে আমির নজিবুর রহমান, মহানগরের সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইনসহ ছাত্রশিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতা।

প্রধান বক্তা হিসেবে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম বলেন, ‘যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় আমাদের দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুতে আজ আল্লাহ আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যরা প্যানেল দিতে পারছে না। যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একসময় বামদের ঘাঁটি ছিল, সেই বিশ্ববিদ্যালয়েও আল্লাহ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। তবে আমাদের মধ্যে অহংকার যেন না আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অহেতুক কথা বা কাজ করতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন। ফেসবুকে অকারণে মন্তব্য করা বা তর্কে জড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের দায়িত্বশীলরা এসব করেন না, তবে সংগঠনের বাইরে কেউ আবেগে করে ফেলতে পারে। কেউ গালি দিলে তার কোনো জবাব দেওয়া যাবে না, কারণ গালির প্রতিউত্তর নেই। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, আমরা কখনো ভাবিনি। এত বড় পরিবর্তন আমরা আগে দেখিনি। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে, অন্তত ১৬০টি আসনে আমরা জয়ী হব।’ 

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন